২০৩০ সালের একদিন ও অন্যান্য

৳ 150.00

লেখক
প্রকাশক
আইএসবিএন
(ISBN)
9844220135
ভাষা বাংলা
পৃষ্ঠার সংখ্যা ১০৩
সংস্কার 6th Published, 2016
দেশ বাংলাদেশ

ফ্ল্যাপে লিখা কথা
সমসাময়িক ঘটনাবলী নিয়ে লেখেন মুহাম্মদ জাফর ইকবাল। তাঁর লেখায় সমস্যার ব্যাপকতা স্পষ্ট হয়। কিন্তু তিনি হতাশীবাদী নন, বরং সবসময়ই আশার আলো দেখেন, বিশেষত তরুণ প্রজন্ম নিয়ে। সক বিষয়েই আছে তার একেবারেই নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি। জটিল বিষয়কে জটিলতার শব্দ ব্যবহার করে দুর্বোধ্য করে তোলেন না। সহজ, কিন্তু তীক্ষ্ন, ব্যতিক্রর্মী উপস্থাপনা। স্বপ্ব দেখতে পারেন, দেখাতেও পারেন। গল্পে মতো কঠিন সত্য কথাগুলো বলেন, যা হয়ে ওঠে লক্ষ মানুষের কথার প্রতিধ্বনি। যারা গভীরতা খোঁজেন, ঘটনার সাথে অন্য ঘটনার সম্পর্ক দেখিয়ে উপসংহার টানতে চান, তাঁর লেখাগুলোকে তারা হয়তো উপর উপর কিছু কথা বা আবেগ আর সহজ উপস্থাপনা তাঁর লেখাগুলোকে সব ধরনের পাঠকের কাছে জনপ্রিয় করে তুলেছে।
বিগত বছরে তাঁর বেশ কয়েকটি কলাম নিয়ে বইটি সংকলিত হয়েছে। শিক্ষা নীতি, সাংস্কৃতিক আগ্রাসন, রাজনীতিতে নীতি-নৈতিকতা, সন্ত্রাসের ব্যাপকতা, দুর্নীতিগ্রন্থ দেশ ঘোষিত হওয়ার কষ্ট, পহেলা বৈশাখের হত্যাকান্ড, সাম্প্রদায়িকতা, গ্যাস বিক্রির ফলাফল, মুক্তিযোদ্ধা শাহারিয়ার কবির এর ‘দেশদ্রোহী’ হয়ে কারাবরণ ইত্যাদি পাঠকনন্দিত লেখাগুলো একসাথে পাঠকের হাতে তুলে দেয়ার কাজগুলো প্রকাশক করতে চেয়েছেন।

ভূমিকা
গত এক বছরে প্রথম আলোতে প্রকাশিত কলামগুলো নিয়ে এই সংকলনটি প্রকাশিত হলো। আমার প্রিয় একজন মানুষ, আহমদ ছফা মারা যাবার পর আমি ঠিক করেছিলাম কলাম লেখা ছেড়ে দেব। ফরমায়েস মাঝে মাঝে ঢেকী হয়তো গিলতে হবে (নির্বাচন বা বর্ষপূর্তি সংখ্যায় যেমন করেছি) কিন্তু নিজে থেকে ঢেকী দূরে থাকুক সূঁচও গিলব না।
কিন্তু নির্বাচনের পর দেশটি যেন রাতারাতি অন্যরকম হয়ে গেল। হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের ওপর দুর্বৃত্তদের সে কী অত্যাচার! কেউ কিছু করছে না, কেউ কিছু বলছে না আমরা সবাই অসহায়ভাবে দেখছি। তখন মনে হলো কষ্ট পাওয়া মানুষগুলোর কাছে ক্ষমা চাইবার জন্যে হলেও আবার একটু লিখি
গ্রন্থাকার প্রকাশ করার সময় অবাক হয়ে দেখছি বেশীরভাগ লেখাই ক্ষোভের, দুঃখের এবং কষ্টের। এর মাঝে সরকার পরিবর্তন হয়ে গেছে কিন্তু ক্ষোভ, দুঃখ এবং কষ্টের পরিবর্তন হয়নি। কষ্ট অন্যদের সাথে ভাগ করে নিলে সেটি নাকি কমে আসে- আমি তাই পাঠকদের সাথে সেই কষ্টটুকু ভাগাভাগি করে নিতে নিজে থেকে এগিয়ে এসছি।
মুহম্মদ জাফর ইকবাল

সূচিপত্র
*একুশে টেলিভিশন এবং হিন্দি সিনিমা
*এই যুদ্ধে জয়ী হতে চাই
*একি অপরূপ রূপ মা তোমায়
*শূন্য দিয়ে গুণ
*সাবমেরিন ফাইবার অপটিক কেব্‌ল এবং অন্যান্য মিথ
*রাজনীতিতে নীতি ফিরে পেতে চাই
*উল্লাস কিংবা ত্রোধ নয়- কষ্ট
*আহমদ ছফা এবং বাংলা একাডেমী পুরুস্কার
*প্রিয় আহীর আলম
*জয় হোক গণতন্ত্রের -জয় হোক বাংলাদেশের
*’সংখ্যালঘূ’ নয়- বাংলাদেশের নাগরিক
*স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন
*চাই অসাম্প্রদায়িক নতুন প্রজন্ম
*অন্যরকম বিজয় দিবস
*২০৩০ সালের একদিন

বাংলাদেশের কিশোর-কিশোরী পাঠকদের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় নাম মুহম্মদ জাফর ইকবাল। তিনি মূলত এ দেশের একজন বিখ্যাত লেখক, পদার্থবিদ এবং শিক্ষাবিদ। কিশোর সাহিত্য, শিশুতোষ গ্রন্থ, বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী, গণিত বিষয়ক বই এর জন্য খুব অল্প সময়েই জনপ্রিয়তা লাভ করেন তিনি। মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৯৫২ সালের ২৩ ডিসেম্বর সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন। মুক্তিযোদ্ধা বাবা ফয়জুর রহমানের চাকরির সুবাদে দেশের বিভিন্ন জেলাতেই তিনি পড়াশোনা করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করে পিএইচডি ডিগ্রী অজর্নের উদ্দেশ্যে স্কলারশিপ নিয়ে পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ে। পিএইচডি সম্পন্ন করে ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে পোস্ট-ডক্টরাল গবেষণা সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে বিখ্যাত বেল কমিউনিকেশনস রিসার্চ ল্যাবেও গবেষক হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৯৪ সালে দেশে ফিরে এসে তিনি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে যোগ দেন। মুহম্মদ জাফর ইকবাল এর বই সবসময়ই এ দেশের কিশোর-কিশোরীদের কাছে বিশেষ আবেদন নিয়ে হাজির হয়েছে। কিশোর সাহিত্য, বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী, বিজ্ঞান ও গণিত বিষয়ক অজস্র গ্রন্থ দিয়ে তিনি আলোকিত করে তুলেছেন এদেশের অগণিত কিশোর-কিশোরীর মনোজগত। মুহম্মদ জাফর ইকবাল এর বই সমূহ, যেমন- দীপু নাম্বার টু, আমার বন্ধু রাশেদ, আমি তপু, শান্তা পরিবার, দস্যি ক’জন ইত্যাদি ব্যাপক পাঠকপ্রিয়তা পায়। তার বেশ কিছু গল্প পরবর্তীতে নাটক ও চলচ্চিত্র হিসেবে টিভি পর্দায় স্থান করে নিয়েছে। তিনি একজন বিশিষ্ট কলামিস্টও। বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডও তাঁর ছত্রছায়ায় গড়ে উঠেছে। মুহম্মদ জাফর ইকবাল এর বই সমগ্র সকল বইপড়ুয়াকেই আকৃষ্ট করে। সাহিত্যে অসামান্য অবদানের জন্য তিনি বহুবার পুরষ্কৃত হয়েছেন। বাংলা একাডেমি পুরষ্কার (২০০৪) এবং শ্রেষ্ঠ নাট্যকার হিসেবে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার (২০০৫) সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও, কাজী মাহবুবুল্লা জেবুন্নেছা পদক (২০০২), শেলটেক সাহিত্য পদক (২০০৩), ইউরো শিশুসাহিত্য পদকসহ (২০০৪) অগণিত পুরষ্কার অর্জন করেছেন গুণী এই সাহিত্যিক।


বই সম্পর্কে কোন জিজ্ঞাসা বা মতামত থাকলে আমাদেরকে জানান
শেয়ার করুন

লেখকের অন্য বইসমূহ