উড়ুক্কু (ফিলিপস পুরস্কারপ্রাপ্ত)

৳ 350.00

লেখক
প্রকাশক
আইএসবিএন
(ISBN)
9844100216
ভাষা বাংলা
পৃষ্ঠার সংখ্যা ২৭২
সংস্কার 13th Printed, 2014
দেশ বাংলাদেশ

“উড়ুক্কু” বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা:
নীনা নামের নিম্নমধ্যবিত্ত শ্রেণির চাকুরিজীবী মেয়েটি এই পরিবেশের একজন বিচ্ছিন্ন নারী চরিত্র। বিয়ে বিচ্ছেদের পর সাবলেটে বসবাস করে এক পরিবারের সাথে। চাকরির সঙ্গে আপােষ, দুর্বিষহ জীবন, দারিদ্র, কুৎসিত মনেপীড়ন… এই সবের মধ্যে যুদ্ধ করতে করতে পরিচিত হয় একজন মহৎ ব্যক্তির সাথে । যিনি এক সময় তার মায়ের প্রেমিক ছিলেন। নীনার চিন্তার দরজা খুলে যায়, বিশাল পৃথিবীতে সে পা রাখতে শেখে। নতজানু হয় সেই ব্যক্তিত্বের কাছে। যেনাে প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ওঠে মায়ের। এর মধ্যেই স্বামীর প্রবল কাঙ্খা— পুনরায় একত্রিত হওয়ার। কিন্তু সংসার চলাকালীন তার জীবনের বিক্ষিপ্ততা, সমকামী স্বামীর সাথে ঘৃণিত, হতাশ, ক্লিশিত সময় অতিবাহনের রূঢ় স্মৃতি তাকে ভীত আতঙ্কিত করে। এ সময় নিজেকে অভিযুক্ত করে ক্রমাগত দগ্ধায় সে। সদ্যজন্ম নেয়া সন্তানের জন্ডিস রােগে মৃত্যু। তার উড়ন্ত রূপ, হামাগুড়ি, হাসপাতালের সাদা ছাদ তােলপাড় করে নিরন্তর হিম চিল্কার… নীনাকে প্রতিনিয়ত নুব্জ-কাতর করে রাখে। এর মধ্যে পরিচিত হয় ওমর নামের বিদঘুটে, জঙ্গুলে এক ছেলের সঙ্গে, যার নিজের কোনাে শেকড় নেই। রাগ, ঘৃণা, আনন্দ, বেদনা কিছুই যাকে স্পর্শ করে না। সমাজের চোখে আত্মসম্মানবােধ বিবর্জিত সেই ছেলের। সহমর্মিতায় সে আচ্ছন্ন হয়। এই সব দিকচক্রবালে পাক খেতে খেতে নীনা গর্ভে একটি সন্তানের উপস্থিতি টের পায়। প্রথম সন্তানের হলুদ মৃত্যুর দুঃসহতার সঙ্গে যুক্ত হয় নতুন দ্রুণকে ধ্বংস না করার আকুতি। প্রবল আত্মসংকটের মধ্য দিয়ে সমাজ বাস্তবতার সাথে, অস্তিত্বের সাথে ক্রমশ যুদ্ধের মুখােমুখি দাঁড়ায় সে।

নাসরীন জাহান ১৯৬৪ সালে ৫ মার্চ বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাটে জন্মগ্রহণ করেন। একজন বাংলাদেশী লেখক, ঔপন্যাসিক, এবং সাহিত্য সম্পাদক। আশির দশকের শুরু থেকে তিনি লেখালেখি শুরু করেন। তার বাবা গোলাম আম্বিয়া ফকির ছিলেন সরকারী চাকুরিজীবী ও মা উম্মে সালমা ছিলেন গৃহিণী। বাবার চাকরীর কারণে থাকতেন মামাবাড়িতে। ১৯৭১ সালে যুদ্ধ শুরু হলে তাকে আর তার ভাইকে ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকায় তাদের এক মামীর বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। যুদ্ধ শেষে ফিরে এসে ভর্তি হন শানকিপাড়া স্কুলে। যাতায়াতের সুবিধার জন্য থাকতেন ফুফুর বাড়িতে। ফুফুর এক মেয়ে ছিল শবনম জাহান। ফুফু তার নামের সাথে মিল রেখে মা-বাবার দেয়া নাম নাসরীন সুলতানা পরিবর্তন করে তার নাম রাখেন নাসরীন জাহান। স্কুলে পড়াকালীন পারভিন সুলতানা নামে এক বন্ধুর সাথে তার সখ্য গড়ে উঠে। সে বিদ্যাময়ী সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়-এ ভর্তি হলে তিনিও একই স্কুলে ভর্তি হন। ১৯৭৭ সালে শিশু একাডেমি থেকে লেখা চাওয়া হলে দুই বান্ধবী লেখা পাঠায়। দুজনের লেখা প্রকাশিত হয় সেই পত্রিকায়। ব্যক্তিগত জীবনে নাসরীন জাহান কবি আশরাফ আহমেদের স্ত্রী। লেখালেখির সূত্রেই তার সাথে পরিচয় এবং সে থেকে প্রণয়। ১৯৮৩ সালে তারা বিয়ে করেন। তাদের এক মেয়ে। নাম অর্চি অতন্দ্রিলা। নাসরীন জাহান পাক্ষিক পত্রিকা অন্যদিনের সাহিত্য সম্পাদক। ১৯৯৭ সাল থেকে তিনি এই পত্রিকার সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি উড়ুক্কু উপন্যাসের জন্য ১৯৯৪ সালে ফিলিপ্স সাহিত্য পুরস্কার অর্জন করেন।


বই সম্পর্কে কোন জিজ্ঞাসা বা মতামত থাকলে আমাদেরকে জানান
শেয়ার করুন

লেখকের অন্য বইসমূহ