ফ্ল্যাপে লিখা কথা
এদেশেরেই নিভৃত এক গ্রামের নাম বীরের মাটি। ঢাকাবাসী পিন্টু এবং রুমার দাদুবাড়ি সেই গ্রামে। ওদের নানুবাড়ির গ্রামের নামও খুব সুন্দর-স্বর্ণথালা। দাদুবাড়ির । নানুবাড়ি কিংবা নানুবাড়ি যাবার স্মৃতিও ওদের বেশি নেই। এবার ঈদের ছুটিতে দাদাবাড়ি যাবার উদ্যোগ নিতে গিয়েই বেরিয়ে পড়ে বীরের মাটির বীরত্বপূর্ণ কাহিনী। ওরা দু’ভাইবোনের প্রবল রোমাঞ্চিত হয়, আনন্দিত হয়, গর্ব করে বলে গ্রামের নাম বীরের মাটি।
কিন্তু পিণ্টুর বড় চাচা ঈদের জামাতে প্রস্তাব রাখেন- গ্রামের নাম পাল্টিয়ে করতে হবে পীরের মাটি। তার মতে এ গ্রামেই ঘুমিয়ে আছেন এক বুজুর্গ পীর। কাজেই এ গ্রামের মাটির বীরের মাটি নয়, পীরের মাটি। এটাই হবে গ্রামের নতুন নাম।
কিশোর পিণ্টু প্রতিবাদ করে এ প্রস্তাবের। সমর্থনও পায় গ্রামবাসীর। ফলে অসংখ্য বীর শহীদের রক্তে ভেজা গ্রামের নাম থেকেই যায় বীরের মাটি।
শুধু একটি গ্রামই নয়, আসলে বাংলাদেশেরই অন্য নাম বীরের মাটি। এই নিয়েই রফিকুর রশীদের কিশোর উপন্যাস ‘বীরের মাটি’।