“বঙ্গবন্ধু : জননায়ক থেকে রাষ্ট্রনায়ক” বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ
বিংশ শতকে বাঙালির শ্রেষ্ঠ অর্জন বাংলাদেশ নামক জাতিরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা আর সে অর্জনের অনন্য রূপকার নিঃসন্দেহে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাংলাদেশবিরােধী শক্তির হাতে সবংশে নৃশংসভাবে প্রাণ হারালেও তিনি সদা-জীবন্ত কারণ বাংলাদেশ আর শেখ মুজিব সমার্থক শব্দ। টুঙ্গিপাড়ার শেখ লুৎফর রহমান এবং সায়েরা খাতুনের ছেলে মুজিব কিভাবে নিজেকে ধাপে ধাপে নিয়ে গেলেন বঙ্গবন্ধুর স্তরে তা গভীর বিস্ময় ও ব্যাপক অনুসন্ধানের। ব্যাপার। শুধু নিজ জাতির স্বাধীনতার সংগ্রামে নেতৃত্বদান নয় বরং যােগ্য হাতে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ার কাজও শুরু হয়েছিল তাঁর হাতে। যে বাংলাদেশবিরােধী শক্তি তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে, এমনকি হত্যার বিচার রুখতে আইন পর্যন্ত প্রণয়ন করেছে তারাই আজ বঙ্গবন্ধুকে নানাভাবে অবমূল্যায়িত করার চক্রান্তে লিপ্ত। কারণ তাঁকে আড়াল করলেই সম্ভব পরাজিত সাম্প্রদায়িকগণবিরােধী ভাবধারার পুনর্বাসন। জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরী সম্পাদিত ‘বঙ্গবন্ধু জননায়ক থেকে রাষ্ট্রনায়ক বইতে আলাে ফেলা হয়েছে বঙ্গবন্ধু জীবনের অনেক অজানা, আধ-জানা বিষয়ে। এখানে একদিকে উন্মােচিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবনালেখ্য আরেক দিকে তাঁর রাষ্ট্রনায়কোচিত প্রজ্ঞা। ২০২০ সালের বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর প্রাক্কালে এ বই ইতিহাস বিকৃতির বিরুদ্ধে একটি দালিলিক প্রতিবাদ।