ভূমিকা
হরর আর পিশাচ কাহিনীর জগতে বর্তমানে অনীশ দাস অপু একটি নির্ভরযোগ্য নাম । তাঁর লেখা পিচাশ কাহিনী মানেই রোমহর্ষক বর্ণনায় ভরপুর; পাঠকের শিরদাঁড়া বেয়ে নেমে আসা এক অপার্থিব অনুভূতির বহিঃপ্রকাশ । আর কথা না বড়িয়ে ‘রাক্ষস’ এর খানিকটা অংশ এখানে তুলে দিচ্ছি: ইয়াল্লা! কেবিনের দোরগোড়ায় কালো জুতো পরা একটা পা লম্বা হয়ে শুয়ে আছে। পুরুষ মানুষের পা।এক কদম আগে বাড়ল অজ্ঞলি। লোকটার বুকে গোল একটা গর্ত। খুব কাছ থেকে কেউ শটগান দিযে গুলি করেছে। চিত হয়ে পড়ে আছে সে, হ্যাঁ করা মুখ। মাছি ছেকে ধরেছে লাশ। একে চেনে অজ্ঞলি -অফিসার মার্টিন। শিলাকে পাকড়াও করেছিল। নগুয়েনের পুলিশ বাহিনীর লোক। অজ্ঞলি ধারণা করল, শিলা লোকটাকে খুন করেছে যাতে রাক্ষসগুলোকে সে ধাওয়া করতে পারে। কিন্তু কেবিনের দিকে আরেকটু এগোতেই যা দেখল, অমন ভয়াবহ দৃশ্য ও জীবনেও দেখিনি। নীল জিনস এবং রক্তমাখা টি-শার্ট পরা শিলা গলায় রশি বেঁধে কড়িকাঠ থেকে ঝুলছে। তার পায়ে বাদামি চামড়ার বুট। একপাটি জুতো আলগাভাবে গোড়ালি থেকে ঝুলছে, খসে পড়বে যে কোনও সময়। গলার রশিটা এমন শক্তভাবে আটকে আছে, মাংস কেটে ঢুকে গেছে ভেতরে। বুঝতে পারল অজ্ঞলী-শিলা ওই পুলিশ অফিসারকে গুলি করে হত্যা করেছে, তার পর বিবেকের দংশন সইতে না পেরে গলায় দড়ি দিয়েছে….। যাঁরা থ্রিলারধর্মী পিশাচ কাহিনির ভক্ত তাঁদের কাছে বইটি ‘রাক্ষস’ আদৃত হবে। বইটি বহুল প্রচার কামনা করছি।