ফ্ল্যাপে লেখা কিছু কথা
কী নেয়ামত ছিল কওমে তারানা পাক সার জমিনে! কী রসালো এক একটা আঙ্গুর।কেমন টকটকে এক একটা তরুণী! আহা বেহেশতি হুর নেমে এসেছে মর্ত্যের বুকে আমাদের এই পশ্চিম পাকিস্তানে। অথচ নফরমান বাঙালি সব ভুলে গেছে। আখরোট, নাশপাতি, শাহী বহল্লা, হিরামণ্ডি সবই। পাক মোটরকে করেছে বাংলা মোটর জিন্নাহ এডিনিউকে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ, আর আইয়ুব গেটকে আসাদ গেট। অনাচার, সবই অনাচার, স্বাধীনতার স্বাদ টের পাবে। মনে যা-ই থাকুক তিনি কিন্তু দেশপ্রেমের পোশাক পরতে দেরি করেননি। আমরাও তাকে কবুল করে নিই। দেশটা স্বাধীন হতেই হঠাৎ গজিয়ে উঠা মুক্তিযোদ্ধা চারদিক ছেয়ে ফেলল। সহজলভ্য সাটিফিকেট সর্বস্ব। এসব মুক্তিযোদ্ধার দাপটে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা তলিয়ে যেতে থাকল। রফিকের তো পাগল হবার কথাই। সেই ক্রান্তিকালে হুসনে জান্নাত তার মুক্তিযোদ্ধ স্বামীর প্রত্যাবর্তনের প্রতীক্ষায়। কিন্তু তৌফিক ফেরে না। একাত্তরের ডিসেম্বরে না, বাহাত্তরে না, তিয়াত্তরে না, চুয়াত্তরেও না। না আসুক, হুসনে জান্নাত নিজেই যাত্রা করে একাত্তরে। আন্দালিব রাশদীর পাঠক জানেন তাঁর উপন্যাস হাতে নিলে শেষ না করে ওঠা যায় না। উপন্যাস পাঠ শেষ হলেও ঘোর যে আর কাটতে চায় না। মুক্তিযুদ্ধের ভালো উপন্যাস নেই এই আফসোস যাদের, তারা অন্তত একবার উপন্যাসটি হাতে নিয়ে বলুন, না, ভালো হয়নি।