ফ্ল্যাপে লিখা কথা
পবিত্র কোরানে ইবলিশ বা শয়তানকে মানুষের শত্রু বলে উল্লেখ করা হয়েছে। শুধু তাই নয় শয়তানকে শত্রু গণ্য করার জন্য মানুষকে আহ্বানও জানানো হয়েছে। এই নির্দেশ কি আমরা চলার পথে স্মরণ রাখি? স্মরণ না রাখলে আমাদের পরিণতি কি হতে পারে আমরা কি তা অনুধাবন করেছি? শয়তান কেন বেহেশত থেকে বিতাড়িত হল এবং শয়তানের ঔদ্ধত্যের স্বরূপ কেমন এসব বিষয় জানা খুবই প্রয়োজন। আমরা এ ব্যাপারে কতটুকু সচেতন? শয়তান মানুষকে কিভাবে ধোঁকার স্বরূপ? কিভাবে মানুষ শয়তানের হাতছানি পরিচিহ্নিত করবে? শয়তানের বৈশিষ্ট্য কি এবং কেমন তার কাজ এসব বিষয় হৃদয়ঙ্গম করতে না পারলে শয়তানের চাতুর্য বুঝা সম্ভব হবে না এবং শয়তান থেকে আত্মরক্ষা করে আলো পথে চলা দুষ্কর-অসম্ভব হয়ে পড়বে।
এই বইতে উল্লিখিত বিষয়গুলো আল কোরানের আলোকে বিশ্লেষিত হয়েছে। কোরানের বিভিন্ন আয়াতের নির্দেশনা ও আলোচনায় আমরা বুঝতে পারব যে কিভাবে শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে নিজকে আত্মরক্ষা করা যায়। বইটি একাগ্র মন নিয়ে পাঠ করলে আমাদের স্থির বিশ্বাস, শয়তানের কৌশল ও অর্থহীন কাজ থেকে নিজকে বাঁচিয়ে রাখার সৌভাগ্য লাভ হতে পারে, তাছাড়া, আধ্যাত্মিক বা তাসাউফের পথে চলার পথিকদের জন্য বিষয়গুলো হৃদয়ঙ্গম করা জরুরী।
মোঃ বজলুর রশীদ
সূচীপত্র
* উপস্থাপনা
* শয়তানের জন্ম
* খৃষ্টানদের দৃষ্টিতে শয়তান
* শয়তানের আলোচনায় ঈমাম গাজ্জালী (র)
* আল্লাহর বিরুদ্ধে শয়তানের বিদ্রোহ
* শয়তানের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ও ধোকার কৌশল
* শয়তানের শক্তি দুর্বল
* মুনাফিকরা শয়তানের বন্ধু
* ঔদ্ধত্যের কারণ
* উদ্ধতরা কি ধার্মিক
* অবিশ্বাসী জাতি
* কোরানে উদ্ধত ও অবিশ্বাসী জাতি
* আত্মার উপর ঔদ্ধত্যের প্রভাব
* পরকালে উদ্ধতের অবস্থা
* বড়পীর আব্দুল কাদের জিলানী (র)-কে শয়তানের ধোকা
* শয়তানের বিরুদ্ধে মু’মিনদের যুদ্ধ
* ঈমানদারদের বিনম্রতা
* সহায়ক গ্রন্থাবলী