ভূমিকা
মোট তিনটি কাহিনি নিয়ে বেরোলো সিরিজের দ্বিতীয় ভলিউম। ‘রেলগাড়ি ঝমাঝম’ নামের কাহিনীটি গড়ে উঠেছে একটি ট্রেন যাত্রাকে কেন্দ্র করে। জিমির বাবা মায়ের সঙ্গে ট্রেনে চেপে ডেনভারে যাচ্ছে অয়ন আর জিমি। ট্রেনেই পরিচয় হলো মিসেস ডেইজি মুনরোর সাথে । এর পর ঘটতে শুর করল রহস্যময় ঘটনা। ‘হ্যারোভিলের রহস্য’ নামের কাহিনিটি বেশ মজার। নেভাদার এক ছোট্র শহর হ্যারোভিরে বেড়াতে গেছে অয়ন, জিমি আর রিয়া। ওরা জানতে পারলো ,ওখানে রয়েছে ভৌতিক এক টানেল। যেখানে ঘুরে বেড়ায় একদল চিনা শ্রমিকের প্রেতাত্না! ঘটনাটা আসলে কী তা জানতে হলে পড়তে হবে কাহিনির শেষ পর্যন্ত। এবার বইটির আরেকটি কাহিনি ‘ভিক্টোরিয়ার হীরে’ থেকে সামান্য অংশ এখানে তুলে দিচ্ছি: ভ্যানের সামনেটা ভচকে গেছে। অনেক কষ্টে দরজা খুলে বেরিয়ে এল ডুগার্ড ,এই মুহূর্তে আরো দুটো হাতই দেখা যাচ্ছে। ভ্যানের ড্রাইভার প্রচণ্ড ঝাঁকুনি সহ্য করতে পারেনি, বাড়ি খেয়ে অজ্ঞান হয়ে গেছে। ডুগার্ডের শরীর জায়হায় জায়গায় কেটে গেছে। অয়নদের দেখে মাথায় আগুন চড়ে বিচ্ছুগুলোর জন্য বানচাল হয়ে গেছে। চিৎকার করে দুহাত তুলে ছুটে এল সে। রিয়াকে ধরতে গেল । বাউলি কেটে ডুগার্ডের হাতের তলা দিয়ে বের হয়ে গেল সে। শত্রুর পিছন দিক থেকে হাঁটুতে একটা লাথি ঝড়ল রিয়া। পিঠের উপর দিয়ে ছোঁড়ে দিল। ধপাস করে ভারী বস্তার মত আছড়ে পড়ল চোর মহাশয়। হাততালি দিয়ে উঠল ছেলেরা। ‘ব্রাভো,রিয়া!’ উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে বলল অয়ন। ‘দারুণ তোমার মার্শাল আর্ট…….! বইটির তিনটি কাহিনি পাঠককে যথেষ্ট আনন্দ দিতে সক্ষম হয়েছে। লেখক ইসমাইল আরমান নিজেই বইটির প্রচ্ছদ করেছেন -যা বইতে অতিরিক্ত মাত্রা যুক্ত করেছে।