ফ্ল্যাপে লিখা কথা
সমকালের কথাই বলেন তিনি। তবে বলেন মহাকালের ভাষায়। এ এক স্বভাবসিদ্ধ ক্ষমতা তার। যার অপর চিহ্ন মানুষ খুন ও কয়লা তোলার এই যুগআখ্যান। সেই যুগে গড়পড়তা সব মানুষকে নীরবে শুনতে হয় ‘সৎ’ মানুষের খোঁজে নামা ক্ষমতাস্পৃহদের সুশীলবয়ান। কিন্তু তারপরও সব কিছু ছাপিয়ে বমনের শক্তি নিয়ে ডিজুস-প্রজন্মের তারুণ্যকে স্পর্শ করতে সক্ষম হয় মৃত্যুর দিকে এগিয়ে চলা একটি মানুষ। কেননা, এখনও, কেবলমাত্র তারই ক্ষমতা আছে জাতিশ্বরের বেদনা নিয়ে প্রচণ্ড বিবমিষায় আক্রান্ত হওয়ার। কেবল তার স্মৃতিতেই জ্বলজ্বল করে, এই যে পথ দিয়ে আমরা হেঁটে চলেছি, সেখানে একদিন উঠে এসেছিল গ্রামের কৃষকেরা, সেখানে এখন উঠৈ আসছে আদিবাসীরা। মানুষটির মনে হয় রক্তের নদীতে সে হাবুডুবু খাচ্ছে। পুলিশের দল তাকে চেষ্টা করছে সেই নদীতে ডুবিয়ে মারার। কেন এমন মনে হয়? এ কি কেবলই সাইকোলজিক্যাল ডিসঅর্ডার? কেবলই মধ্যবিত্তের সেন্টিমেন্ট? নাকি স্টেট ভায়োলেন্সেরই উদাহরণ?
২০০৬-এ এই আখ্যান রচনা করেন ইমতিয়ার শামীম। ওই বছরেই সেটি প্রকাশিত হয় একটি সংবাদপত্রের ঈদ সংখ্যায়। পড়ুয়ারা এ লেখার মূর্ত হতে দেখেন রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের অংশীদার হতে ইচ্ছুক ক্ষমতাম্পৃহ সুশীল সমাজের নগ্ন পদধ্বনি। আর লেখাটি প্রকাশের মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই বাংলাদেশে দেখা মেলে সামরিক-সুশীলতান্ত্রিক এক জরুরি অবস্থার।
বলার অপেক্ষা রাখে না, মহাকালের পড়ুয়াদের কাছেও অনিবার্য হয়ে থাকবে এ আখ্যান।