বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিকথা : অসমাপ্ত মুক্তিযুদ্ধ-রাজনীতি হত্যা-ধর্ম সাম্প্রদায়িকতা
রইসউদ্দিন আরিফ-এর লেখালেখি বাংলাদেশের বিপ্লবী রাজনীতির চেতনাগত বিকাশের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার দাবি রাখে। তাঁর রচনার গুণ হচ্ছে তিনি বিপ্লবী রাজনীতির ধ্রুপদি প্রশ্নগুলো বারবার আমাদের কাছে তুলে ধরেন এবং তার প্রাসঙ্গিকতা বারবার মনে করিয়ে দেন। অন্যদিকে তাঁর বিশ্লেষণাত্মক লেখায় ধরা পড়ে মুক্তিযুদ্ধের সামগ্রিকতা, ফাঁক ও ফাঁকি, রাষ্ট্রের প্রাসাদ ষড়যন্ত্র এবং পরাশক্তির ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের সব জটিল প্রক্রিয়া। লেখকের তিন গ্রন্থের বর্তমান অখ- সংস্করণে অনুসন্ধিৎসু পাঠকের অনেক প্রশ্নের উত্তর মিলতে পারে। মিলতে পারে বাংলাদেশের গণমানুষের রাজনীতি বিনির্মাণের যথার্থ দিকনির্দেশনা।
লেখক
রইসউদ্দিন আরিফ
বাংলাদেশের গণমুক্তির রাজনৈতিক ধারার ব্যতিক্রমধর্মী কলমযোদ্ধা রইসউদ্দিন আরিফ-এর জম্ম ১৯৪৩ সালে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায়। পড়ালেখা গ্রামের স্কুল, ময়মনসিংহ আনন্দমোহন কলেজ, ময়মনসিংহ টিচার্স ট্রেনিং কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। কিছুদিন শিক্ষকতা ও সরকারি চাকরি অতপর চাকরি থেকে ইস্তফা।
ষাটের দশকে প্রগতিশীল ছাত্রআন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে রাজনীতি শুরু। ৭০-এ বিপ্লবী সিরাজ সিকদার ও পূর্ববাংলা শ্রমিক আন্দোলনের সঙ্গে যোগাযোগ। ৭১- এ পূর্ববাংলার সর্বহারা পার্টিতে যোগদান। ৭২-এ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত স্ত্রী রাশিদা (রানু) ও কোলের শিশুপুত্রসহ সার্বক্ষণিক পার্টিক্যাডার হিসেবে আন্ডারগ্রাউন্ড বিপ্লবী জীবন শুরু।
কমরেড সিরাজ সিকদার নিহত হওয়ার পর ১৯৭৬ সালে বিভক্ত সর্বহারা পার্টির অস্থায়ী পরিচালনা কমিটির (অপক) সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৭৭-৭৮ সালে কারাবরণ। কারামুক্তির পর থেকে প্রকাশ্য রাজনীতিচর্চা ও লেখালেখি। বর্তমানে সপরিবারে ঢাকায় বসবাস করছেন। লেখকের প্রকাশিত অনেক গ্রন্থের মধ্যে তিন খণ্ডের অখণ্ড- সংস্করণ আন্ডারগ্রাউন্ড জীবন সমগ্র সর্বমহলে বহুল সমাদৃত।