আন্ডারগ্রাউন্ড জীবন সমগ্র : বাংলাদেশ ও উপমহাদেশের কমিউনিস্ট আন্দোলনের বিতর্কিত অধ্যায়
রইসউদ্দিন আরিফ
সত্ত দশকের আন্ডারগ্রাউন্ড বাম রাজনীতির নেতা রইসউদ্দিন আরিফের ৩ খণ্ডে লেখা ‘আন্ডারগ্রাউন্ড জীবন’ শুধুমাত্র পাঠক নন্দিত গ্রন্থই নয়। সহজ, সরল, সাবলিল ভাষায় লেখা স্মৃতিকথার অন্তরালে গ্রন্থটি হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের এবং উপমহদেরশর আন্ডারগ্রাউন্ড বাম রাজনীতির অনেক অজানা কথার মূল্যবান ঐতিহাসিক দলিল।
রইসউদ্দিন আরিফ
বিশিষ্ট রাজনীতিক ও রাজনৈতিক ধারার ব্যতিক্রমধর্মী লেখক রইসউদ্দিন আরিফ-এর জম্ম ১৯৪৩ সালে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার এক অজপাড়ার ক্ষয়িষ্ণু সামন্ত পরিবারে। পড়ালেখা : ১৯৫৮ সালে গ্রামের স্কুল থেকে মেট্রিকুলেশন পাশ করার পর ময়মনসিংহ আনন্দমোহন কলেজ, ময়মনসিংহ টিচার্স ট্রেনিং কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়ন শেষে ১৯৬৮ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের শিক্ষা বিভাগে স্কুল ইন্সপেক্টর হিসেবে সরকারি চাকরিতে যোগদান। ১৯৭২ সালে চাকরি থেকে ইস্তফা।
ষাট-এর দশকে আনন্দমোহন কলেজে বাম ছাত্ররাজনীতি শুরু। ৬৪- তে আনন্দমোহন কলেজ সংসদে কলেজ বার্ষিকীর সম্পাদক নির্বাচিত হন। সত্তরে বিপ্লবী সিরাজ সিকদার ও পূর্ববাংলা শ্রমিক আন্দোলনের সাথে যোগাযোগ। একাত্তরে বিপ্লবী সিরাজ সিকদারের নেতৃত্বধীন পূর্ববাংলার সর্বহারা পার্টিতে যোগদান। বাহাত্তরের শেষের দিকে রক্ষীবাহিনীর প্রচ- চাপের মুখে বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত স্ত্রী রাশিদা বেগম ওরফে রানু ও কোলের শিশুপুত্রসহ সার্বক্ষণিক বিপ্লবী ক্যাডার হিসেবে আত্মগোপন। আন্ডারগ্রাউন্ড রাজনীতির জীবন শুরু। কষ্টকর আন্ডারগ্রাউন্ড জীবনযাপনকালে সহ-কমরেড ও সহধর্মিনী রানুর অকাল মৃত্যুবরণ।
কমরেড সিরাজ সিকদার নিহত হওয়ার পর ১৯৭৬ সালে বিভক্ত সর্বহারা পার্টির মূল অংশের অস্থায়ী পরিচালনা কমিটির (অপক) সম্পাদক নির্বাচিত হন। ৭৭-৭৮ সালে কারবারণ। প্রচারবিমুখ এই কলমযোদ্ধা বর্তমান সহধর্মিনী মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. খালেদা বেগম, পুত্র সঙ্গীত পরিচালক সালাউদ্দিন শান্তনু, পুত্রবধূ ইরাজুম বিল্লাহ ও কন্যা স্থপতি তামান্না তাসনুম জ্যোতিসহ সপরিবারে ঢাকায় বসবাস করছেন।
বর্তমান কর্মকা- : রাজনীতি, সমাজসেবা ও লেখালেখি। প্রকাশিত অনেক গ্রন্থের মধ্যে তিন খণ্ডের সমাপ্ত আন্ডারগ্রাউন্ড জীবন সমগ্র দেশে ও বিদেশে বহুল সমাদৃত।