ভূমিকা
ডা:মিজানুর রহমান কল্লোল স্বাস্থ্য বিষয়ক বই ও নিবন্ধ নিয়মত লিখে যাচ্ছেন। স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা বিষয়ক লেখাগুলো স্বভাবতই কিছুটা জটিল ও দুর্বোধ্য হয়ে থঅকে। কিন্তু ডা: কল্লোলের প্রাঞ্জল ভাষার গুনে যে কোনও লেখাই সাধারণ পাঠকের কাছে সহজবোধ্য হয়ে ওঠে। তাঁর এবারের বইতে তিনি স্বাস্থ্যবিষয়ক বিভিন্ন সমস্যপা ও সেগুলোর সমাধানের পথ বাতলে দিয়েছেন অত্যান্ত সহজ সরল ভাষায়, যা ডসব শ্রেণীর পাঠকই সহজে বুঝতে পারবে। এখানে তাঁর বইয়ের সামান্য অংশ তুলে দিচ্ছি: যাদের দেহের ওজন বেশি, সহজ কথায় মোটসোটা, তাঁদের হাপানি বা অ্যাজমা রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এর কারণ হিসেবে দেখানো হয়, শরীরের বেশি ওজনের জন্য হরমোনগত পরিবর্তনের ফলে এই হাঁপানি রোগের উৎপত্তি হতে পারে। তাই পরিমাণমত সুষম খাদ্য গ্রহণ ,ব্যায়াম এবং নিয়ন্ত্রিত জীবন যাপনের মাধ্যমে আমাদের শরীরের ওজনকে নিয়ন্ত্রনে রাখা উচিত(হাঁপানি এড়াতে ওজন কমান) ।চোখের স্বাস্থেও গুরুত্ব অপরিসীম। তবে এমন কিছু সমস্যা রয়েছে যখন সমস্যাটা অনেক বড় আকারে না পৌঁছলে টের পাওয়া যায় না। আর এ সমস্যা লক্ষণগত ভাবে প্রথমে ধরা পড়ে না। তা ছাড়াও চোখের স্বাস্থের কথা চিন্তা করে আমার কিন্তু রুটিনলি চেক আপ করাই না। চোখে ঝাপসা দেখলে ,চুলকালে বা চোখ লাল হলে তখন আমরা সমস্যাটা হয় বাচ্চাদের ক্ষেত্রে। সাধারণত বাচ্চার চোখের সমস্যা ধরা পড়ে যখন সে স্কুলে ভর্তি হয় এবং বোর্ডের লেখা দেখতে পায় না বা দেখতে,অসুবিধা হয় (বাচ্চার দৃষ্টি শক্তির ব্যাপারে সচেতনতা) । বইটিতে দেড়শো’র ও বিশ স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন টিপস সংযোজিত হয়েছে । বইটি সাধারণ পাঠকের বিশেষ উপকারে আসবে।