ফ্ল্যাপে লেখা কিছু কথা
খট…. খট….! বাইরে থেকে কে যেন দরজায় কড়া নেড়েই চলেছে। মাঝ রাতে কে এলো কে জানে! ঝড়-বৃষ্টির রাত। ঝমঝম করে মুসলধারে বৃষ্টি। শন শন করে বাতাস বইছে। রাস্তায় কোনো জনমানবের চিহৃ নেই। হঠাৎ দু-একটা রিকশার টুংটাং শব্দ কানে আসছে। মাঝে মধ্যে বিদ্যুৎ চমকানোয় একনিমেষে রাস্তাঘাট দৃশ্যমান করে আবার মিলিয়ে যাচ্ছে। চিলেকোঠার ঘরটাতে নীরবতা নেমে এলো। কারো মুখে কোনো কথা নেই।পরের ঘটনা শোনার জন্য চার ক্ষুদে গোয়েন্দা একে-অপরের দিকে কৌতূহলী দৃষ্টিতে তাকালো। সেই মূর্তি! প্রশস্ত ললাট, মাথায় লম্বা লম্বা চুল। কাঁচাপাকা গোঁফ! চুল-গোঁফ ভরা লোকটিকে আজও অদ্ভুত দেখাচ্ছে। গলায় অদ্ভুত ধরনের একটা মালা আর ঘাড়ে ঝোলানো অদ্ভুত ধরনের একটা ব্যাগ। কিন্তু আজ লোকটিকে হাতে তুলট কাগজের একটি বইও দেখতে গেল অপু। ঝড়বৃষ্টির রাতে বটগাছের একটি ডার ভেঙে পড়লো বুড়ির কুঁড়েঘরের ওপর। ঘুমন্ত বুড়ি ঘর চাপা পড়ে মারা গেল। সে রাত থেকেই বিচ্ছিরি ভয়কর চেহারার মানবাকৃতিকে আর গ্রামের আনাচে-কানাচে দেখা গেল না। এমনকি তার কান্নাকাটি ও অভিশাপ দেয়াও থেমে গলে চিরতরে। তবে সেই ঘটনার পর থেকে মহারাজপুর গ্রামের লোকেরা আজ পর্যন্ত সন্ধের পর আলো না জ্বেলে কখনো থেতে বসে না কেউ….. রহস্য ও ভৌতিক লেখায় পরিপূর্ণ ‘ভূত গোয়েন্দা রহস্য।’
সূচিপত্র
ভূত*অদৃশ্য হাত
*আসল ভূত নকল ভূত
*হ্যালুসিনেশন
গোয়েন্দা
*নেকলেস রহস্য
*গোয়েন্দাগিরির প্রথম পাঠ
*কষ্ট বুকে চেপে
রহস্য
*তৃষা ফিরে এসেছিল
*স্বর্ণগোলক
*রহস্য মানব
*রহস্য বালক
*ব্যর্থ মিশন