ফ্ল্যাপে লিখা কথা
কীভাবে ছড়া শব্দটির জন্ম হলো
এক ছিল ‘ছ’। একা একা বহুদিন ছিল। কিন্তু আর কাহাতক! তাই ‘ছ’ চলে যায় ছাগলে,ছাতায়, ছালায়, ছলাকলায়। ছোটাছুটি করতে করতে একদিন হঠাৎ ‘ড়’ এর সাথে ধাক্কা খেয়ে দাঁড়িয়ে গেল। ছ-ড় দুজনে হাত বাড়ালো উভয়ের দিকে। খেয়াল করেন ছ><ড়। হাত মিলাতে চায় চায় ভাব তাই না/ তো ছয় দিন ছয় রাত ছড়াছড়ি জড়াজড়ি করে শুয়ে থাকে, বসে থাকে, গড়াতে থাকে। রাতে দিনে বাড়ে সমানে সমানে। যে-ই দেখে সে ই অবাক হয়। সারাক্ষণ ছুটোছুটি করতে হয়তো বা ছ আর ড় এর ভালো লাগে । কিন্তু অন্যদের ভালো লাগে না। তাই তারা করলো কি, ছ আর ড় এর শেষে একটা সুপারি গাছ দাঁড় করিয়ে দিল । কী হলো? ছ ড় এর কাজ তো ঐ গাছে উঠা আর নামা, নামে উঠে।
জড়াজড়ি,ছড়াছড়ি, নাড়ানাড়ি, পাড়াপাড়ি, কাড়াকাড়ি, চড়াছড়ি, একেবারে যাকে বলে হুলুস্থুল কারবার। ছ আর ড় এর ঠেলায় গাছ গেল মরে। ওরাশোকে স্তব্ধ হয়ে গেল। কয়েকদিন শোক প্রকাশ করলো। তারপর সুপারি গাছকে অমরত্ব দান করার জন্য ওদের সাথে একাত্ন করে নেয়ার কায়দা করে মহা উল্লাসে ইতিহাসে স্থান করে নিল। কীভাবে? এখানে এভাবে ছ+ড় সুপারি গাছের আকার=ছড়া। এরপর থেকেই ছড়া অর্থ যা ছড়িয়ে থাকে বা ছড়িয়ে যায়। গড়িয়ে যায়, নাড়িয়ে যায় বা করিয়ে টরিয়ে যায় আর কি!
প্রিয় পাঠক, ছড়াগুলো পাঠ করলে যদি ওরকম ভাব মনের মধ্যে ছড়াছড়ি করে তবেই আমার পরিশ্রম সার্থক। আর যদি না হয়? সেটা কি আর বলতে হয়?