ফ্ল্যাপে লিখা কথা
মাজেদা বিধবা। একমাত্র সন্তানটি থাকে তার নানীর কাছে। গ্রামে। আর মাজেদা তার দামড়ি বাছুর প্যাটার্নের দেহটি নিয়ে আরেফীন ইঞ্জিনিয়ারের ফ্ল্যাটে। তিরিশ টাকা মাস মাইনেরয় দিন গুজরান করে যাচ্ছিল। তার একমাত্র সহযোগী ছোকরা তালেব।মাইনে বিশ টাকা। এক্সট্রা ইনকাম বাজার করা ইত্যাদি। কিন্তু গৃহকর্মীর খোলামেলা বুক এবং চৌপর দিনভর তাঁর ঘুম দেখে ঝি মাজেদা এবং তার সহযোগী ছোকরা তালেব অনুপ্রাণিত হয়ে কাজে নামে। ফলে যা হওয়ার মাস দুয়েকের মধ্যেই হয়ে যায়। টের পেয়ে মাজেদা ঝাঁপিয়ে পগে তালেবের ওপর , বিয়া করন লাগব। নাইলে সাহেবের কইয়া দিমু।
শুনে তালেবের হাঁড়িপাতিল খারাপ। সে গ্রামে ছেলে। সরলমতি। এই ধরনের পরিস্থিতিতে কি করতে হয় তার জানা নেই। তাছড়া, আরফীন সাহেবের বাসায় বিশ টাকা মাইনের চাকরিটাও তার জন্যে মহা মূল্যবান। ফেলে যে ভাগলভা হবে উপায় নেই। যাবে কোথায়!
কাঁচুমাচু হয়ে মাজেদাকে সে বোঝানোর চেষ্টা করে। টাউনের যাওয়ার সময় গ্রামের ছেলেরা মা খালাদের যে কায়দায় সালাম করে, ঠিক সেই কায়দায় দুতিন দিন, মাগো তুমি আমারে ক্ষমা কইরা দেও মা, বলে মাজেদার পা জড়িয়ে ধরারও এটেম্পট নিয়েছে। পারেনি। চেঁচামেচি করে ওঠে মাজেদা। খাতারনাক মেয়েছেলে।