ফ্ল্যাপে লিখা কথা
‘এই শরবত আমি খাবো না।’ চুনিয়া ওর মাকে পানিতে কিছু মিশিয়ে গুলাতে দেখে বলল।
‘কেনো বাবার?’
‘তুমি ইঁদুরের বিষ মেশাচ্ছো আমি জানি।’
‘কে বলল বাবা?’
‘ইঁদুরের ঔষধের প্যাকেট আমি চিনি।’ চোখ বড় বড় করে ছো্ট্ট চুনিয়া ওর মাকে বলল।
‘না বাবা ও সব না তো’
‘আমি খাবো না।’
‘তুমি দিলে আমি খাবো’ চুনিয়া জমজ বোন মুনীয়া ভলল,
‘আমিও খাবো’ এবার চুনিয়াও বলল, ‘তুমি বললে আমিও খাবো মা।’ বাচ্চা দু’টির মা নির্জিব হয়ে বলল,
‘আমার বাবার কাছে যাবো। তুমি শরবত দাও মা।’
না, সুপ্রিয় পাঠক পাঠিকা, আপনাদের মধ্যে থেকে এমন একজনই এই পরিস্থিতিতে উড়ে এসে ঝাপিয়ে পড়েছিল বলেই হয়তো হালপালহীন সেই দুস্থ পরিবারটি বেঁচে গিয়েছিল। আপনাদের মধ্যেই কারো সহযোগীতার জন্য টউইন শিশু চুনিয়া ও মুনীয়ার রাজকুমারী হবার স্বপ্ন পূরণ হয়েছিল। ঘটনাটি মিথ্যে বলে উড়িয়ে দেয়া সম্ভব নয়, কেননা ঘটনাটি আপনার পাশের বাসার, আর না হয় আমাদের নিজেদেরই কারো।
সূচিপত্র
* গল্পের সূচনা
* চুনিয়া মনীয়ার পরিচিতি
* একটি নান্দনিক বাঘের গল্প
* চুনিয়া মুনীয়াদের বাড়ির বিবরণ
* চুনিয়া মুনীয়ার বাবার পরিচিতি
* বিপর্যয়
* চুনিয়া মুনীয়া মা মুক্তির পরিচয়
* চুনিয়া মুনীয়ার জন্মকথা
* চুনিয়া মুনীয়ার বস্তি জীবন
* বস্তিতে দুধর্ষ ঘটনা
* চুনিয়া মুনীয়ার নতুন জীবন
* কবি ও চুনিয়া মুনীয়া
* আইসক্রিমের গল্প
* কবির মেয়ে রোদমিলার সাথে চুনিয়া মুনীয়া
* চুনিয়া মুনীয়ার প্রথম সুটিং
* ঢাকা মেডিকেলে চুনিয়া মুনীয়া
* চুনিয়া মুনীয়া বাবার খবর
* চুনিয়া মুনীয়ার বিদেশ যাত্রার প্রস্তুতি
* চুনিয়া মুনীয়ার বিদেশ যাত্রা
* বিমান বন্দরে চুনিয়া মুনীয়া
* চুনিয়া মুনীয়া এখন মালয়েশিয়া
* চুনিয়া মুনীয়া বাবাকে দেখা
* বাবার শেষ চিকিৎসা
* পাঁচ বৎসর পর
* পরিশেষে