আধপেটা : অর্ধেক পেটন দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ঘুষখোর পুলিশের মার।
আর্কিটেক্ট : হাছন রাজা বেঁচে থাকলে এখন ‘ঘর-বাড়ি ভালা না আমার’ বলে আরো বেশি আফসোস করতেন।
উপনয়ন : চোখের উপরে নয়ন অর্থাৎ চশমা।
একঘরে : একটি মাত্র ঘরে থাকতে বাধ্য হন যিনি। আইসিইউতে ভর্তি হওয়া রোগী।
কমিটি : কয়েকজন লোকের সমষ্টি, যারা একা কিছুই করতে পারে না এবং একত্রে বসার পর দেখা যায় সম্মিলিত ভাবেও আসলে কিছু করা সম্ভব নয়।
খোশামোদ : খোশ মেজাজে বলা কথা যা নিরানব্বই ভাগই মিথ্যা। অধস্তনদের অফিসিয়াল ভাষা।
ঘি : শাস্ত্রে লেখা আছে ঋণ করে হলেও ঘি খাও। সুদখোরদের বিজ্ঞাপন।
ছদ্মবেশ : সেলিব্রেটিদের খুব কাজে লাগে। তবে রাজাকারদের কাছে এর ব্যবহার শিখতে হবে।
-বইটিতে এমন হাজারো শব্দের মানে ব্যঙ্গাÍকভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে শুধু শব্দ নিয়ে রসবাক্যই নয় উšে§াচণ করার চেষ্টা করা হয়েছে বাঙালির চরিত্রকেও। যেমন খোশামোদ : খোশ মেজাজে বলা কথা যা নিরানব্বই ভাগই মিথ্যা।
বইটি পড়তে পড়তে পাঠকের অনেক সময় মনে হবে, আরে! এমন তো আমিও করি। তাহলে এ অভিধান কী আমার জন্যই? ব্যাঙ্গ-বিদ্রুপের মাধ্যমে মুখোশধারী মানুষের মুখোশও খুলে দিবে এই বই। আহাম্মকের অভিধান দৈনিক কালের কণ্ঠের বিদ্রুপাÍক ম্যাগাজিন ‘ঘোড়ার ডিম’ এ ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়েছে। লেখক পরিচিতি : তাপস রায়।
জন্ম : ৭ মাঘ, শনিবার ১৩৮৬ বঙ্গাব্দ; সিরাজগঞ্জ জেলার সোহাগপুর গ্রামে। মা তাপসী রায়, বাবা প্রভাতচন্দ্র রায়ের প্রথম সন্তান। পড়াশোনা শেষ করে দৈনিক আজকের কাগজ-এ সাংবাদিকতার মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু। বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে পেশাবিষয়ক ক্রোড়পত্র, ম্যাগাজিন সম্পাদনা করেছেন। দৈনিকগুলোতে এখন পর্যন্ত চার শতাধিক রম্যরচনা, ছড়া, কিশোর গল্প এবং নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। প্রিন্ট মিডিয়ার পাশাপাশি ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াতেও রয়েছে সমান পদচারণা। টেলিভিশনের জন্য নাটক এবং কেরিয়ার, ফ্যাশন, ইতিহাস বিষয়ক বিভিন্ন অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা ও গ্রন্থনা করেছেন। বর্তমানে দৈনিক সকালের খবর-এ পেশাবিষয়ক ক্রোড়পত্র এবং শিশুদের পাতা সম্পাদনার দায়িত্ব পালন করছেন।