লেখক পরিচিতি
অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়েছেন। বর্তমানে সিনিয়র তথ্য অফিসার হিসেবে শিক্ষামন্ত্রণালয়ে কর্মরত।
ফ্ল্যাপে লিখা কথা
‘স্বপ্নের সীমানা’ গল্পগ্রন্থের গল্পগুলোতে নিম্নবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত জীবনের বাস্তব চিত্রের রূপায়ন ঘটেছে। সমাজের সেই শ্রেণীর মানুষ যাদের সাধ আছে কিন্তু সাধ্য নেই, যারা ব্যর্থতার গ্লানি তাদের নিজ নিজ ভাগ্যের ওপর চাপিয়ে স্বস্তিবোধ করে। ‘নিঃশব্দ আর্তনাদ’ গল্পের জবান বিবি, ‘স্বপ্নের সীমানা’ গল্পের খাদেম আলী, ‘ছিন্নপত্রে’র মীরা চৌধুরী, ‘ছেঁড়া গোলাপের ঝরা পাপড়ির’ রিজিয়া, ‘আর নয়’ গল্পের মতি কিংবা ‘আঁধারের যাত্রী’র নাসিম চরিত্রের মৌলিক বৈশিষ্ট্য একবিন্দুতে মিলিত হয়েছে- যাদের জীবনের স্বপ্ন স্বপ্নই রয়ে গেছে, যা বাস্তবায়িত হয়নি।
সমাজের খেটে খাওয়া নিরন্ন মানুষের জীবনের প্রতিচ্ছবি বিম্বত হয়েছে প্রতিটি গল্পে। ভাষায় চমৎকার গাঁথুনি গল্পগুলোকে করেছে সুখপাঠ্য। আরজুমন্দ আর বানু ‘স্বপ্নের সীমানা’ গ্রন্থের মধ্য দিয়ে বাংলা ছোটগল্পের ইতিহাসে যে মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন তা গল্পলেখক হিসেবে তাঁর শক্তিক্ষমতাকে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
আরজুমন্দ আরা বানুর গল্পগ্রন্থ ‘স্বপ্রে সীমানা’য় স্থান পেয়েছে মোট ১২টি গল্প। বেশির ভাগ গল্প প্রকাশি হয়েছিল বিভিন্ন দৈনিক, সাপ্তাহিক এবং সাময়িকীতে। সংবাদ, সচিত্র সন্ধানী, চিত্রবাংলা, পুলক এর অন্যতম। অপর্ণা হক রানু নামে তাঁর এসব গল্প প্রকাশিত হয়েছিল। গল্পগুলো লেকার সময়সীমা মাধ্যমিক শ্রেণী থেকে বর্তমান সময় অবধি।