ফ্ল্যাপে লিখা কথা
মোঘল-সম্রাট শাহজাহান-সম্রাজ্ঞী মমতাজ চিরনিদ্রায় শায়িত আগ্রার তাজমহলে-এর সম্মুখে দাঁড়ালে মনে পড়বেই “মমতাজ-মমতাজ তোমার তাজমহল যেন বৃন্দাবনের এক মুঠো প্রেম .. “
লাহোরের শালিমার বাগে এলে মোঘল সম্রাট জাহাঙ্গীর-সম্রাজ্ঞী নূরজাহান হৃদয়ে ঝড় তোলে।
স্মৃতিতে জাগে- “নূরজাহান নূরজাহান … সিন্ধুনদীতে ভেসে এল মেঘলামতীর দেশে।”
ভারতবর্ষ জুড়ে বড় বড় নগরীতে দেখা মেলে মহাত্মা গান্ধী, জহরলাল নেহেরু, নেতাজি সুভাষ বসুর ভাস্কর্য …
রবীন্দ্রসেতু, বিদ্যাসাগর সেতু দেখে দেখে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে খুব করে ভাবতে ইচ্ছে হয়। গুজরাটের রাজকোটে শৈশবকাল কাটিয়েছেন মহাত্মা গান্ধী ….। রাজকোট আছে, জনতা আছে কিন্তু গান্ধী আজ কোথায়?
কলকাতায় গেলে কোনোদিন দেখা যাবে না শরৎচন্দ্র, সুচিত্রা সেন, প্রমথেশ বড়ুয়া, কাননদেবীকে।
মুম্বাইতে এলে সুরাইয়া, নূরজাহানের স্মৃতিও খুঁজে পাওয়া যাবে না। কাশীতে চিতা জ্বলছেই ..
এসব ভাবতে গেলে মনে হবে আমরা যেন প্রেতাত্মার নগরে ভ্রমণ করছি। এজন্য লেখক লিয়াকত হোসেন খোকন গ্রন্থটির নাম দিয়েছে : মৃত মানুষের নগরে ভ্রমণ। গ্রন্থটি পড়লে ভারতবর্ষের উল্লেখযোগ্য ভ্রমণস্পটে কীভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন, কী দেখবেন-তাও জানা যাবে।