“আলাওল পদ্মাবতী” বইটি সম্পর্কে কিছু কথা:
কবি জায়সী সিংহল দ্বীপ, রাজা গন্ধর্বসেন, রাজসভা, নগর, উদ্যান ইত্যাদি বর্ণনা করে পদ্মাবতীর উল্লেখ করেছেন। রাজভবনে হীরামণ নামে একটি অদ্ভুত শুকপক্ষী ছিল। পক্ষীটি ছিল পদ্মাবতীর অত্যন্ত প্রিয়। পদ্মাবতী শুককে সর্বদা তাঁর কাছে রাখতেন এবং শুকের সঙ্গে সর্বপ্রকার আলাপআলােচনা করতেন। পদ্মাবতী ক্রমশঃ যৌবনবতী হলেন এবং তাঁর রূপের সংবাদ সমস্ত ভূমণ্ডলে পরিব্যাপ্ত হল। তাঁর বিয়ে হচ্ছে না দেখে হীরামণ তাঁকে বললাে যে সে দেশ দেশান্তর ঘুরে তাঁর উপযুক্ত বর খুঁজে আনবে। রাজা এ সংবাদ শুনে অত্যন্ত ক্রুদ্ধ হলেন এবং শুককে মারবার আদেশ দিলেন। পদ্মাবতী অত্যন্ত বিনয় করে শুকের প্রাণ রক্ষা করলেন। কিন্তু এরপর থেকে শুক সুযােগ খুঁজতে লাগলাে কোনক্রমে রাজভবন ছেড়ে যেতে। | একদিন পদ্মাবতী মানসরােবরে এলেন সখীদের সঙ্গে নিয়ে স্নান ও জলক্রীড়া করতে। এই সুযােগে শুকপক্ষী বনে উড়ে গেল। বনের অন্যান্য পাখীরা মহামানী জ্ঞানে শুককে ভক্তি জানালাে। সেই বনে এক ব্যাধ এলাে। ব্যাধের আগমনে সব পাখীগুলি উড়ে গেল, কিন্তু চিন্তাশীল শুক ধরা পড়লাে। ব্যাধ শুককে সিংহলের হাটে নিয়ে এলাে বিক্রি করতে। সেখানে চিতােরের এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে এক ব্রাহ্মণ হাটে এসেছিলেন। ব্রাহ্মণ জানতে পারলেন যে, এই শুকপক্ষী অত্যন্ত জ্ঞানী এবং সুপণ্ডিত। ব্রাহ্মণ শুককে ক্রয় করে চিতাের দেশে এলেন। চিতােরে তখন রাজা চিত্রসেনের মৃত্যুর পর তাঁর পুত্র রত্নসেন রাজা হয়েছেন। শুকের প্রশংসা শুনে রত্নসেন লক্ষ টাকা দিয়ে হীরামন ক্রয় করলেন।
বিস্তারিত জানতে পাঠক অবশ্যই বইটি পড়ুন…….