ফ্ল্যাপে লিখা কথা
বাংলা, হিন্দি, উর্দু, ইংরেজি এই চার ভাষার সিনেমা ও অভিনেতা-অভিনেত্রীরা আমাদের তৎকালীন পূর্ববাংলায় (বর্তমান বাংলাদেশ) অসম্ভব জনপ্রিয় ছিলেন। হলিউডের ক্লার্ক গ্যাবেল, গ্রেটা গার্বো, মেরিলিন মনরো, রিটা হেওয়ার্থ, ভিভিয়েন লে. গ্রেস কেলি, এলিজাবেথ টেলরকে নিয়ে কত হৈচৈ। সদ্যপ্রয়াত সংগীতশিল্পী মাইকেল জ্যাকসনের জনপ্রিয়তাও বলে শেষ করার নয়। কলকাতার বাংলা ছবিতে সুচিত্রা সেন, উত্তম কুমার-এর আগে দুর্গাদাস বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রমষেশ চন্দ্র বড়ুয়া, কাননদেবী, সাধনা বসু; আর ঢাকার ছবিতে রহমান, সুমিতা দেবী, সুলতানা জামান, রওশন আরা, আনোয়ার হোসেন প্রমুকও কম ছিলেন না। হিন্দিছবির পৃথ্বিরাজ কাপুর, অশোক কুমার, মতিলাল, দিলীপ কুমার, দেব আনন্দ, রাজকাপুর, দেবিকা রানী, লীলা চিৎনিশ, নার্গিস, মধুবালা, সুরাইয়া, নূরজাহান, নিন্মি; একই পাশাপাশি লাহোরের সন্তোষ কুমার, সাবিহার খ্যাতি ছিল আকাশচুম্বী। অতীতের তারকা এবং এ যুগের (২০০৯ সাল পর্যন্ত) রানী মুখার্জী, শাহরুখ খান, সালমান খান প্রমুখের অবদানও এই পুস্তিকায় তুলে ধরা হয়েছে।
চলচ্চিত্রকে যাঁরা ভালোবসেন, তারকাদের সম্পর্কে যাঁরা জানতে চান কিংবা একটি ইতিহাস হাতের কাছে রাখতে চান তাঁদের কাছে লেখক লিয়াকত হোসেন খোকনের এই পুস্তিকাটি হতে পারে অতি আদরণীয়।