“রাজাবলি” বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা:
মরুদেশ কেনানের সারগন বা রাজা শলােমন এই উপন্যাসের নায়ক। তিনি প্রথমে রাজা, তারপর নবি। তাঁর হাতের অস্ত্রগুলি দিব্যাস্ত্র নয়, লােহার তৈরি। এই উপন্যাসের পরতে পরতে দ্বন্দ্বের বীজ। যে বীজ দিব্যতন্ত্র এবং রাজতন্ত্রের সংঘাত থেকে উদগত। দিব্যতন্ত্রীদের সকল আকাঙক্ষাকে রাজতন্ত্র পরীক্ষা করতে চেয়েছে। এবং রাজতন্ত্রী শলােমন চেয়েছেন পরীক্ষা দিতে। তাঁর রাজসত্তা এবং নবিসত্তার দ্বন্দ্ব তাঁরই পক্ষে হৃদয়বিদারক হয়েছে। যদিও এই হৃদয়কে দিব্যবলে হােক, কী মনুষ্য-চেতনা থেকেই হােক, আবিষ্কার করতে পেরেছিলেন তিনি। ওল্ড টেস্টামেন্ট ও লােকপুরাণ নির্ভর হলেও ‘রাজাবলি’র প্রতিটি চরিত্র উঠে এসেছে। রক্তমাংসের শরীর নিয়ে ইম্মায়েল, আব্রাহাম, বৎসেবা, আনাথ প্রমুখ চরিত্র এখানে শরীরীসত্তায় স্পন্দিত। বস্তুত, ধর্মে নিহিত মানুষের আদি অস্তিত্ব ও ইতিহাসের বিশ্বব্যাপ্ত সমগ্ৰতায় পৌঁছতে চেয়েছে এই অভিনব উপন্যাস।