জীবনের সন্ধ্যালগ্নে পৌঁছে বুদ্ধদেব অনুভব করলেন, পঞ্চাশ বছরের জীবনসঙ্গিনী। মনােরমা এবং তিন কৃতী পুত্র ও দুই বিবাহিত কন্যাকে নিয়ে তাঁর যে-সংসার, সেখানে কোথায় যেন অন্য সুর বাজছে। তিনি নিজের মধ্যে এক অন্য জগৎ গড়ে তুলেছিলেন। এই সংসারের কাছে তাঁর আর কিছু প্রত্যাশা নেই। মনের মধ্যে অহর্নিশ চলছে যোগবিয়ােগের কাটাকুটি খেলা। একই ছাদের তলায় থেকেও ছেলেরা ক্রমশ দূরে সরে যাচ্ছে। দুই কন্যার জীবনে নেমে আসছে অভাবিত বিপর্যয়। উদ্ভূত নানা যন্ত্রণার হাত থেকে মুক্তি পেতে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে একদিন আত্মহননের পথ বেছে নেন বুদ্ধদেব। এক আশ্চর্য মুহূর্তে মৃত্যুর দ্বার থেকে ফিরে আসেন মনােরমা। যে-আত্মীয়-পরিজন, আত্মজ-আত্মজাদের ভুল বুঝে বুদ্ধদেব চলে গেলেন, সেই তাদেরই মধ্যে মনােরমা উপলব্ধি করলেন অমলিন ভালবাসা আর নিবিড় মমত্ব। কীভাবে—তারই আন্তরকাহিনী এ উপন্যাসে।