“ছড়ার রাজ্য-৩” বইটির শেষের ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ
শিশুর প্রথম পাঠ হচ্ছে ছড়া। শিশুর পবিত্র মুখে কথা ফোটার শুরুতেই আধাে আধাে বােলে ওরা ছড়া আওড়ায়। বড়দের কাছ থেকে ছড়া শুনে শুনে অনায়াসে সেই ছড়াগুলাে মুখস্থ করে ফেলে শিশুরা। বর্ণমালা চেনার আগেই ছবির মাধ্যমে ছড়া ওদের চেনা হয়ে যায়। এককালে মুখে মুখে রচিত হতাে ছড়া। ছােট্ট সােনামনিদের সঙ্গে খেলতে খেলতে মুখে মুখে ছড়া বানাতেন মায়েরা। শিশুদের খাওয়াতে কিংবা ঘুমপাড়াতেও মায়েরা ছড়া বলতেন। একালের আধুনিক মায়েরাও বলেন। যুগ যুগ ধরে এভাবেই মা এবং শিশুর কথােপকথনের একটা কার্যকর মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে ছড়া। ছড়া এবং ছবির মাধ্যমেই একটি শিশু প্রবেশ করে তার একান্ত নিজস্ব সৃজনশীলতার অপরূপ ভুবনে। প্রাচীন লােকছড়া এবং আধুনিক ছডার মিশেলে সাজান হয়েছে বয়সভিত্তিক এই সংকলন। ৩ থেকে ৫, ৫ থেকে ৭, ৭ থেকে ৯ এবং ৯ থেকে ১১ বছর বয়সী বন্ধুদের জন্যে মােট চারটি বই সম্পাদনা করা হয়েছে। এই বইটি ৭ থেকে ৯ বছর বয়সী বন্ধুদের জন্যে।