শরীর অনুবাদ করা কঠিন, আরো শক্ত ভালোবাসার রূপান্তর। তেমনি সহজ নয় অন্য ভাষাকে নিজ ভাষায় প্রকাশ। পারিপার্শ্বিকতা সেখানে পাত্রে অবস্থান নিলেও প্রাণ থাকে প্রান্তরে। এবং এর মধ্যেই বাঁশিকে বাঁশি, আর বাঁশকে বাঁশ হিসেবে চিহ্নিত করার কার্যটি ক’রে নিতে হয়। এ বিবেচনায় আশরাফুল মোসাদ্দেক নিষ্ঠাবান পাঠক, অভিজ্ঞ নির্বাচক ও পরিশ্রমী অনুবাদক। ঝকঝকে বয়ানে কবিতাগুলো মেতে আছে নতুন লীলা-লাস্যে। মূলকে বিবেচনা করার উপায় যেখানে দুরূহ, সেখানে ভুল নিয়ে মাখামাখিও বৃথা। আর একজন কবি যখন অন্য ভাষার কবিতা অনুবাদ করেন তখন সেখানে নতুন মাত্রা তো যোগ হয়-ই। তবে ঊন যেটুকু তা গ্রাহ্যের সীমায় না নেয়াই শ্রেয়। কৌটার স্ট্রবেরী কতোটুকু তাজা ও স্বাদের তা নির্ভরশীল প্রক্রিয়াকরণের উপর। পাওয়া না পাওয়ার ভেতরও যে ঘ্রাণ অবশিষ্ট থাকেÑএবং তা যদি কবিতা-ই হয়, তবে কম কিসে? আর আশরাফুল মোসাদ্দেকের কর্মটিতে (ভূমি কর্ষণ, বীজ বপন, জল সিঞ্চন এবং ফসল আহরণ) শ্রমের সাফল্য অভিনন্দনযোগ্য।