রক্তাক্ত বাংলা

৳ 360.00

লেখক
প্রকাশক
আইএসবিএন
(ISBN)
9789848858226
ভাষা বাংলা
পৃষ্ঠার সংখ্যা ৩৫২
সংস্কার 6th Published, 2015
দেশ বাংলাদেশ

ফ্ল্যাপে লিখা কথা
একটি ঐতিহাসিক প্রকাশনা ‘রক্তাক্ত বাংলা’ । পুথিঘর লিমিটেড এর প্রাণপুরুষ প্রয়াত চিত্তরঞ্জন সাহা প্রবাসে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন স্বাধীন বাংলা সাহিত্য পরিষদ-মুক্তধারা। বাংলাদেশ থেকে যেসব শিল্পী-সাহিত্যিক -বুদ্ধিজীবী তখন কোলকাতায় উদ্বাস্ত জীবনযাপন করেছিলেন বা মুক্তিযুদ্ধর নানা কাজে জড়িয়ে ছিলেন, তাঁদেরকে তিনি এ পরিষদের সাথে যুক্ত করতে প্রয়াসী হয়েছিলেন। মুক্তধারার প্রথম প্রকাশনা ‘রক্তাক্ত বাংলা’। এই প্রথম বাংলাদেশ নিয়ে রনেশ দাশগুপ্ত, সৈয়দ আলী আহসান, শওকত ওসমান, ড. আনিসুজ্জামান, সন্তোষ গুপ্ত , সত্যেন সেন, জহির রায়হান প্রমুখ বুদ্ধিজীবীদের ভাবনা এক সাথে সংকলিত করা হল। বিভিন্ন লেখক মুক্তিযদ্ধের পটভূমি থেকে শুরু করে নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেছেন। একদিকে যেমন আছে বঙ্গবন্ধুর ৬-দফা কর্মসূচী ও স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের মত দলিল, অন্যদিকে আছে রাষ্ট্রভাষা, গণহত্যা,সাংস্কৃতিক আন্দোলন, অর্থনৈতিক প্রেক্ষিত, সামাজিক পটভূমি, শিক্ষানীতি, লোক ঐতিহ্য ইত্যাদি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা। সে সময়ের প্রেক্ষিত সংকলন গ্রন্থটির মূল্য অপরিসীম। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে গ্রন্থটি বিশেষ সহায়ক। পরিশিষ্টে রয়েছে ৭ ডিসেম্বর ১৯৭০ থেকে ২৫ মার্চ ১৯৭১ পর্যন্ত উজ্জ্বল সময়ের ঘটনাপঞ্জী।

Syed Ali Ahsan
(২৬শে মার্চ, ১৯২২ - ২৫শে জুলাই, ২০০২) বাংলাদেশের একজন খ্যাতনামা সাহিত্যিক, কবি, সাহিত্য সমালোচক, অনুবাদক, প্রাবন্ধিক ও শিক্ষাবিদ। ১৯৮৯ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশ সরকার তাঁকে জাতীয় অধ্যাপক হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে। তিনি তাঁর পাণ্ডিত্যের জন্য প্রসিদ্ধ ছিলেন। সৈয়দ আলী আহসান কৃত বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতের ইংরেজি অনুবাদ সরকারি ভাষান্তর হিসাবে স্বীকৃত।
পুরোনো ঢাকা শহরের আরমানিটোলায় অবস্থিত আরমানিটোলা সরকারি হাইস্কুল থেকে এন্ট্রান্স (এসএসসি) এবং ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজ (বর্তমানে ঢাকা কলেজ) থেকে এফএ (এইচএসসি) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দে স্নাতক (বিএ)এবং ১৯৪৪ সালে স্নাতকোত্তর (এমএ) ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর তিনি কলকাতা চলে যান। সেখানেই বিয়ে করেন ৭ জুলাই, ১৯৪৬। অত:পর যথাক্রমে অল ইন্ডিয়া রেডিও কলকাতা কেন্দ্রে এবং রেডিও পাকিস্তান ঢাকা কেন্দ্রে কর্মসূচি নিয়ামকরূপে চাকরি করেছেন। তিনি ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দে সৈয়দ আলী আহসান করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রধান নিযুক্ত হন। ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত এ পদে কর্মরত ছিলেন। ১৯৬০ থেকে ১৯৬৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত বাংলা একাডেমীর পরিচালক (প্রধান নির্বাহী) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর পুনরায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে প্রত্যাবর্তন করেন। ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দের ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯৭৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০২ খ্রিস্টাব্দের ২৫ জুলাই তিনি ঢাকায় ইন্তেকাল করেন। তাকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন কবরস্থানে সমাহিত করা হয়।


বই সম্পর্কে কোন জিজ্ঞাসা বা মতামত থাকলে আমাদেরকে জানান
শেয়ার করুন

লেখকের অন্য বইসমূহ