ফ্ল্যাপে লিখা কথা
আবীর আর রিমি পরস্পরকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিল। কিন্তু কয়েক বছর সংসার করার পর এখন তাদের মনে হচ্ছে আলাদা হয়ে যাওয়াই ভালো। আবীরের মনে হয় রিমির পিছুটান থাকায় সে তার জীবনটা উপভোগ করতে পারছে না। রিমির মনে হয়ে সে বন্দী জীবনযাপন করছে।
আলাদা হওয়ার কিছুদিন পর আবীর দেখে রিমি আরেক লোককে সঙ্গে নিয়ে ঘুরছে। আবীর অবাক হয়ে লক্ষ্য করে বিষয়টা সে মেনে নিতে পারছে না। আস্তে আস্তে সেটা তার কাছে এমন অসহনীয় হয়ে ওঠে যে সে অভিযোগ করতে থাকে রিমির এই সম্পর্ক আগে থেকেই ছিল। রিম তার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। রিমি তার কোনো কথাই আর শুনতে চায় না বলে তার মেজাজটা ভীষণ খারাপ হয়। কোনোভাবেই রিমিকে ফেরাতে না পেরে সে একটা অদ্ভুত সিদ্ধান্ত নেয়। অদ্ভুত সিদ্ধান্তে, অদ্ভূত পদ্ধতিতে সমাধানের চেষ্টা।
মানুষের সম্পর্ক, বিশেষত প্রেমের সম্পর্ক এমন অদ্ভুত একটা ব্যাপার যে সেটা আছে না শেষ হয়ে গেছে মানুষ নিজেরাই অনেক সময় তা বুঝতে পারে না। বোঝার জন্য কখনো কখনো দরকার পড়ে তৃতীয় চোখ। সেই তৃতীয় চোখ কখনো ভেঙ্গে যাওয়া সংসারকে জোড়া লাগায়, সু্প্ত প্রেমকে দেয় নতুন জীবন। এটা সেই সুপ্ত প্রেমের পুনর্জন্মের গল্প। বিচ্ছেদ দিয়ে মিলনের গল্প।