বকুল কথা প্রথম প্রতিশ্রুতি ও সুবর্ণলতা গ্রন্থের শেষ খণ্ড

৳ 0.00

লেখক
প্রকাশক
আইএসবিএন
(ISBN)
8172930739
ভাষা বাংলা
পৃষ্ঠার সংখ্যা ৩৬২
সংস্কার 40th Edition, 2015
দেশ ভারত

“বকুল কথা” বইয়ের ফ্ল্যাপের কথা:
যখন আমাদের সমাজে অন্তঃপুর ছিল অবহেলিত, যখন সেখানকার প্রাণীরা পুরোপুরি আস্ত মানুষের সম্মান কখোনো পেত না, তখন সামান্য কটি মেয়ে এগিয়ে এসে প্রতিবাদ করে, সমাজের শৃঙ্খল ভেঙে মুক্ত পৃথিবীর আলো এনে দেবার সুযোগ করে দেয় অন্তঃপুরে। সত্যবতী ছিল সেই সামান্য কজন মেয়ের অন্যতম। সত্যবতীর মেয়ে সুবৰ্ণলতা সত্যবতীর মত তেজ না পেলেও নীরবে সেই নারীমুক্তিরই আকাঙক্ষাকে লালিত করে গেছে। সেই আকাঙক্ষা ফলবতী হয়েছে সুবৰ্ণলতার মেয়ে বকুলের জীবনে, যে যশস্বী লেখিকা হয়েছে। অনামিকা দেবী নামে। কিন্তু বকুল তথা অনামিকা কি তার সমাজের নূতন রূপে মা ও দিদিমার সাধনায় সাফল্য দেখতে পাচ্ছে? না দেখছে শেকল-ছোঁরার এক ভয়াবহ উন্মাদনায় নারী-প্রগতির নামে চলছে স্বেচ্ছাচার! এই জিজ্ঞাসাই বকুল বা করে তুলেছে। আশাপূর্ণ দেবীর সত্যবতী ট্রিলজির এই শেষ খণ্ডে এই প্রশ্নই বড় হয়ে উঠেছে—স্বাধীনতা ও স্বেচ্ছাচার এই দুইটির সীমারেখা কোথায় ? সে সীমারেখার অন্বেষই বকুলকথা উপন্যাসের মূল উপজীব্য।

Ashapurna Debi
(৮ই জানুয়ারি, ১৯০৯ – ১৩ই জুলাই, ১৯৯৫) বিশিষ্ট ভারতীয় বাঙালি ঔপন্যাসিক, ছোটোগল্পকার ও শিশুসাহিত্যিক। ১৯২৪ সালে, মাত্র ১৫বছর ৮ মাস বয়সে কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা কালিদাস গুপ্তের সাথে বিবাহ সম্পন্ন হয়। বিংশ শতাব্দীর বাঙালি জীবন, বিশেষত সাধারণ মেয়েদের জীবনযাপন ও মনস্তত্ত্বের চিত্রই ছিল তাঁর রচনার মূল উপজীব্য। ব্যক্তিজীবনে নিতান্তই এক আটপৌরে মা ও গৃহবধূ আশাপূর্ণা ছিলেন পাশ্চাত্য সাহিত্য ও দর্শন সম্পর্কে সম্পূর্ণ অনভিজ্ঞা। বাংলা ছাড়া দ্বিতীয় কোনও ভাষায় তাঁর জ্ঞান ছিল না। বঞ্চিত হয়েছিলেন প্রথাগত শিক্ষালাভেও। কিন্তু গভীর অন্তর্দৃষ্টি ও পর্যবেক্ষণশক্তি তাঁকে দান করে বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ লেখিকার আসন। তাঁর প্রথম প্রতিশ্রুতি-সুবর্ণলতা-বকুলকথা উপন্যাসত্রয়ী বিশ শতকের বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ রচনাগুলির অন্যতম বলে বিবেচিত হয়। তাঁর একাধিক কাহিনি অবলম্বনে রচিত হয়েছে জনপ্রিয় চলচ্চিত্র। দেড় হাজার ছোটোগল্প ও আড়াইশো-র বেশি উপন্যাসের রচয়িতা আশাপূর্ণা সম্মানিত হয়েছিলেন জ্ঞানপীঠ পুরস্কার সহ দেশের একাধিক সাহিত্য পুরস্কার, অসামরিক নাগরিক সম্মান ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্মানিক ডক্টরেট ডিগ্রিতে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাঁকে প্রদান করেন পশ্চিমবঙ্গের সর্বোচ্চ সম্মান রবীন্দ্র পুরস্কার। ভারত সরকার তাঁকে ভারতের সর্বোচ্চ সাহিত্য সম্মান সাহিত্য অকাদেমী ফেলোশিপে ভূষিত করেন। ১৯৯৫ সালে ১৩ জুলাই তিনি মৃত্যু বরণ করেন।


বই সম্পর্কে কোন জিজ্ঞাসা বা মতামত থাকলে আমাদেরকে জানান
শেয়ার করুন

লেখকের অন্য বইসমূহ