তিনি কিংবদন্তি
তিনি ইতিহাস
এই বই লেখার জন্য অনেকের কাছে গিয়েছি, অনেকের সঙ্গে কথা বলেছি। সবার সব কথা যতটুকু সম্ভব এই বইয়ে জায়গা পেয়েছে- তবে আমি মুগ্ধ -আমি ঋণী- যারা একাবাক্যে স্বীকার করেছেন ফখরুদ্দিন বাবুর্চির মত মানুষ তাদের জীবনে তারা আর দেখেনি। কথা বলতে বলতে অনেকে চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি।
এই বইয়ে ব্যবহৃত ছবি এবং অনেক তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছেন ফখরুদ্দিন বাবুর্চির নাতী আব্দুল খালেক। যিনি বর্তমানে ফখরুদ্দিন চেইন রেস্টুরেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন। ফখরুদ্দিন বাবুর্চির খাবারের অত্যন্ত মূল্যবান ৮০ টি রেসিপি দিয়েছেন তারছেলে হাজী মোঃ রফিক। যিনি বলেছেন, এই প্রথম ফখরুদ্দিনের রেসিপি পাঠকের সামনে যাচ্ছে এবং এর প্রকাশনা সত্ব পুরোটাই আমার। আমি রফিক বাবুর্চি ও ফখরুদ্দিনের নাতী খালেক এর প্রতি কৃতজ্ঞ। তাদের এই সহযোগিতার ঋণ কোনদিন ভুলবো না।
বইটি পাঠ করে পাঠক যেমন একজন সোনার মানুষকে জানতে পারবেন- একই সঙ্গে এই প্রথম তার দুর্লভ রেসিপি পেয়ে যাবেন দুই মলাটের ভিতর । ফখরুদ্দিন বাবুর্চির খাবার যারা খেয়েছেন , যারা খাচ্ছেন, যারা আগামীতেও খাবেন সবাই ফখরুদ্দিন বাবুর্চির জন্য দোয়া করবেন। সবার ঘরে সংগ্রহে রাখার জন্য, ক্ষুদ্র থেকে বৃহৎ হওয়ার মানসিক শক্তি অর্জনের জন্য এই বই পাঠ করলে সেটাই হবে আমার আনন্দ ও সফলতা।
শহীদুল হক খান
সম্পাদক- দৈনিক হৃদয়ে বাংলাদেশ
৯, বঙ্গবন্ধু এভিনিউ, লেবেল-১১
ঢাকা-১০০০
ফ্লাপে লেখা
জন্ম ভারতের পাটনায়। কর্মের সন্ধানে এসেছিলেন এই দেশে। ভিকারুন্নেসা নুন স্কুল কমিটির একজন বড় কর্মকর্তার বাড়িতে উঠেছিলেন। তারপর ভিকারুন্নেসার ছাত্রীদের জন্য নাস্তা বানানো শুরু । সেই নাস্তা থেকে আজ কাচ্চি বিরিয়ানী এবং অন্যান্য শত রকমের খাবার, ভিকারুন্নেসা থেকে দেশে বিদেশে নানা শহরে, নানা আয়োজনে, রাজা-বাদশা, মন্ত্রী-প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত সবার প্রিয় রান্নার জাদুকর ফখরুদ্দিন বাবুর্চি।
আজ তিনি বেঁচে নেই। কিন্তু বেঁচে আছে তার নাম, তাঁর সুনাম, তাঁর সন্তান, তাঁর পরিজন। যারা তাঁর দেখানো, তাঁর শেখানো পথে আজ এগিয়ে চলেছে দেশের এক অঞ্চল থেকে আরেক অঞ্চলে, বিশ্বের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে। কাচ্চি বিরিয়ানী, পোলাও, মাংস, রমজানে ইফতারী, ছোট অনুষ্ঠান বড় অনুষ্ঠান সব খানেই ফখরুদ্দিন বাবুর্চি আছেনতো সবই নিশ্চিন্ত।
ফখরুদ্দিন বাবুর্চির খাবারের পাশাপাশি ফখরুদ্দিন বাবুর্চিকে যেন সবাই চেনেন, সবাই মনে রাখেন তাঁর জন্যই এই বই।
রান্নার নিয়ম ও উপকরণ গুলোর পরিমাণ এই বই দেওয়া আছে।
সূচিপত্র
রাইস
* সাদা পোলাও
* কাচ্চি বিরিয়ানী (খাসী)
* কাচ্চি বিরিয়ানী (গরু)
* কাচ্চি বিরিয়ানী (মুরগী)
* মোরগ পোলাও/ মুরগীর বিরিয়ানী
* মটর পোলাও
* সবজী পোলাও
* তেহারী (গরু)
* তেহারী (খাসী)
* তেহারী (মুরগী)
* পাক্কী বিরিয়ানী (গরু)
* পাক্কী বিরিয়ানী (খাসী)
* ভূনা খিচুরী
ভেজিটেবল
* চাইনিজ সবজী
* মিক্স
* চিকেন সবজী
* বেগুন বাগারা
* লাবড়া
* ফুলকপি ফ্রাই
* সবজী কোপ্তাকারী
ডিম
* ডিমের কোর্মা
* ডিম ভূনা
* ডিম ফ্রাই
সালাদ
* পিস সালাদ
* মাখা সালাদ
* রাইতা সালাদ
* মেহোনিস সালাদ
* ফ্রুট সালাদ
ফ্রাই/দোপেয়াজা
* প্রন ফ্রাই (চিংড়ি)
* মাছ ফ্রাই (রুই)
* মাছ ফ্রাই (ইলিশ)
* মাছ ফ্রাই (পাবদা)
* মাছ ফ্রাই (কই)
* মাছ ফ্রাই (রূপচান্দা)
* সরিষা ইলিশ
* মাছের কোর্মা
* ইলিশের স্মোকড্
* চিতল মাছের কোপ্তা কারী
* দোপেয়াজা (রুই)
* দোপেয়াজা (ইলিশ)
* দোপেয়াজা (পাবদা)
* দোপেয়াজা (কই)
* চিকেন ফ্রাই
রোস্ট
* রোস্ট
* চিকেন টিক্কা
* লেগ রোস্ট
* আস্তা খাসীর রোস্ট
* বোরহানী
* ফিরনী
রেজালা/ভুনা/কোর্মা
* রেজালা (গরু)
* রেজালা (খাসী)
* রেজালা (মুরগী)
* গরুর ভূনা
* খাসীর ভূনা
* মুরগীন ভূনা
* কোর্মা (গরু)
* কোর্মা (খাসী)
* কোর্মা (মুরগী)
কাবাব
* জালী কাবাব
* টিকিয়া কাবাব
* সামি কাবাব
* শিক কাবাব (গরু)
* বটি কাবাব (খাসী)
* সাসলিক (গরু)
* সাসলিক (খাসী)
* সাসলিক (চিকেন)
চাপ/কোপ্তাকারী
* চাপ (গরু)
* চাপ (খাসী)
* কোপ্তাকারী (গরু)
* কোপ্তাকারী (খাসী)
* জর্দ্দা
ভর্তা
* টাকি মাছের ভর্তা
* চিংড়ি মাছের ভর্তা
ডালের মুড়ি ঘন্ট/ভূনা
* মুগ ডালের মুড়ি ঘন্ট
* মসুর ডালের মুড়ি ঘন্ট
* চানার ডাল
* চানা ডালের নারিকেল
* মুগ ডালের ভূনা
* চাটনী