জীবনের কথকতা কিংবা গল্প কখনো কখনো বড় মানের উপন্যাস কিংবা সাহিতাকেও হার মানায়। অন্তহীন সম্ভাবনা নিয়ে মানবজীবন। বিকশিত জীবনসত্ত্বা সময়ের উপযোগিতায় বিশ্লেষিত হবার দাবী রাখে। অন্যের প্রেরণা জোগাবার মতো পরিপ্রেক্ষিত যদি তার মধ্যে (জীবনীতে) থেকে থাকে, তখন তা সময়ের মূল্যমানে গুরুত্ববহ হয়ে ওঠে। এই গ্রন্থের গল্পটি একটি জীবনকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে। আমরা জানি জীবন মানে পুষ্প শয্যা নয়, জীবনের পথ কখনও সরল রৈখিক নয়। বহু বাঁক ঘুরে, চড়াই- উৎরাই, সমতল-বন্ধুর পথ বেয়ে নানা উপল ল্ড পেরিয়েই তবে তার পরিণতি কিংবা অভীষ্ঠ লক্ষ্যে পৌঁছা। এই বয়ে যাওয়া পথটুকুই কাহিনীর নির্যাস জুগিয়েছে। যা আর দশটি জীবনের মত ছকে বাঁধা জীবন কিংবা গল্প নয়। আশা করি সাহিত্য রস সিঞ্চনের সাথে সাথে প্রিয় পাঠক নিজেকে খুঁজে পাবেন এই কাহিনীর মধ্যে।
এই কথকতার মধ্যে কোন অতিরঞ্জন নেই, নেই অকারণ স্মৃতি হাতড়িয়ে বেড়াবার প্রবণতাও। ঘটনা কিংবা কাহিনীটি পড়বার মুহুর্তে সময়ের বিশাল ক্যানভাসে ধরে ধরে মূর্ত হয়ে উঠবে অতীত এবং বর্তমান । জীবন চলার পথে নানা ভাবে সঞ্চিত ও অর্জিত হয় আমাদের অভিজ্ঞতার ভান্ডার। বোধ করি এই কাহিনী থেকেও আপনারা অল্প মানে হলেও সেই চলার প্রেরণা পেয়ে যাবেন।
এই গ্রন্থে উল্লেখিত ঘটনাগুলো ঘটে যাবার সময় সাক্ষী কেবল নিরবধি ‘কাল-বেলা’ আর কিছু কিছু ডায়েরীতেও স্থান পেয়েছে। ‘কালের’ আশ্রয় মগজের অন্ধ প্রকোষ্ঠ। আর ডায়েরীতো কীট দংশিত, ছিন্নপাতার সমাহার বলা চলে। দু’টি আশ্রম থেকেই কঠোর পরিশ্রম, আর গভীর অভিনিবেশ সহযোগে গ্রন্থাকারে কাহিনীটি রূপ দেবার কঠিন কাজটি করে দিয়েছেন আমার বন্ধুবর ‘জনাব মোয়াজ্জেম হোসেন ফিরোজ ভাই আমি ব্যক্তিগতভাবে তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ।
গল্পটি রূপায়ন যাদেরকে ঘিরে আমার সেই প্রাণপ্রিয় এলাকাবাসী, সংশ্লিষ্ট সকলের কাছেও ঋণ স্বীকার করছি।
সর্বোপরি গ্রন্থপাঠে প্রিয় পাঠক এতটুকু উপকৃত হলে আমার সব শ্রম সার্থক মনে করব। ধন্যবাদ।