“দ্য ফিফথ মাউন্টিন” বইটির সম্পর্কে কিছু কথা:
খৃস্টপূর্ব ৮৭০-এর গোড়ার দিকে ফিনিশিয়া নামে পরিচিত একটি জাতি, ইসরায়েলিরা যাদের লেবানন বলে ডাকত, প্রায় তিনশো বছর শান্তির সময় পার করেছিল। এখানকার বাসিন্দারা তাদের সাফল্যে গর্ব বোধ করত; তারা রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতাশালী ছিল না বলে অবিরাম যুদ্ধ বিগ্রহ লেগে থাকা এক জগতে বেঁচে থাকা নিশ্চিত করার জন্যে আলোচনার এক সুনিপূন কৌশল গড়ে তুলেছিল। আনুমানিক ১০০০ খৃস্ট পূর্বাব্দের দিকে ইসরাযেলের রাজা সোলোমমানের সঙ্গে সম্পাদিত এক মৈত্রীর অধীনে এর নৌবহরগুলো আধুনিকায়ন ও বাণিজ্য সম্প্রসারণের সুযোগ পায়। সেই থেকে ফিনিশিয়ার সমৃদ্ধি আর থেমে থাকেনি।
এখানকার নাবিকেরা স্পেইন আর অ্যাটলান্টিক সাগরের মতো দুরবর্তী এলাকায় গেছে। এখনও নিশ্চিত ভাবে জানা যায়নি তবে উত্তরপুর্ব এবং দক্ষিণ ব্রাযিলে তারা লিপি রেখে গেছে বলে অনুমান করা হয়। এরা কাঁচ, সিডার, অস্ত্রশস্ত্র, ইস্পাত আর আইভোরি নিয়ে গেছে। সিদন, টায়ার আর বিবলসের মতো বড় শহরগুলোর বাসিন্দারা সংখ্যা, জোতির্বিজ্ঞানের হিসাবনিকাশ, মদ প্রস্তুত সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ছিল এবং প্রায় দুশো বছর ধরে লেখার জন্যে বর্ণমালা ব্যবহার করে আসছিল, গ্রিকরা যাকে অ্যালফাবেট বালে জানত।
খৃস্টপূর্ব ৮৭০ সালের শুরুর দিকে সুদুর নিনেভে নামে এক জায়গায় এক যুদ্ধ সভা মিলিত হয়েছিল। ভূমধ্যসাগরীয় এলাকার দেশগুলো অধিকার করে নেওয়ার লক্ষ্যে অসিরিয় জেনারেলদের একটা দল সেনাবাহিনী পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। প্রথম আক্রমণ চালানোর জন্যে বেছে নেওয়া হয়েছিল ফিনিশিয়াকে। খৃস্টপূর্ব ৮৭০ সালের শুরুতে ইসরায়েলের গিলিদের এক আস্তাবলে গা ঢাকা দিয়ে আছেন দুজন লোক, আগামী কয়েক ঘণ্টার ভেতরেই মৃত্যুর আশঙ্কা করছেন তারা।