‘বিবাহবাসরের কাব্যকথা’ বইয়ের ফ্লাপের লেখা
উড়ন্ত দুই পরীর হাতে ঝুলন্ত মালা, সেই ছবি দিয়ে সাজানাে রঙিন কাগজের বিয়ের পদ্যে গুরুজনদের স্নেহাশীর্বাদ, ছােটদের উচ্ছাস আর বন্ধুদের হাসিতামাশা ক’দিন আগেও ছিল বাঙালি বিয়েবাড়ির অপরিহার্য অঙ্গ। চলন কমেছে, কিন্তু আজও পুরােপুরি অদৃশ্য নয়। বিবাহ যেহেতু বাঙালি সমাজজীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ উৎসব, তাই বিবাহবাসরের এই কাব্যকথায় সেকাল-একালের স্বনামধন্য। কবি-সাহিত্যিকদের লেখনীনিঃসৃত রচনাও কম : নেই। বিপুল ও বৈচিত্র্যময় সেইসব রচনা থেকে এমন বহু দুর্লভ দৃষ্টান্ত তুলে এনেছেন চিত্রা দেব তার এই নতুন স্বাদের রম্যগ্রন্থে।। শুধু তাই নয়, কনে-দেখা থেকে শুরু করে । বিবাহবাসর পর্যন্ত বাঙালি বিবাহের নানান পর্যায়। সম্পর্কেও লেখিকা শুনিয়েছেন বহু চমকপ্রদ তথ্য। ইতিহাস, স্মৃতিকথা, এমনকী গল্প-উপন্যাস থেকেও আহৃত এইসব স্বাদু ইতিবৃত্তের মধ্য দিয়ে বাঙালি সমাজের সুখদুঃখের স্মৃতি-জড়ানাে। ক্রমপরিবর্তমান জীবনযাত্রারও একটি স্পষ্ট, নিখুঁত ছবি এ-বইকে করে তুলেছে গুরুত্বপূর্ণ ও নির্ভরযােগ্য এক সামাজিক দলিল। পরিবর্ধিত এই সংস্করণে আরও কিছু তথ্য সমৃদ্ধ হয়ে নতুন সাজে প্রকাশিত হল।
সূচি
কনে দেখা …………….১১
গয়নার গাছ ……………..২৫
বিয়ের খরচ ……………….৩৪
মেয়েযজ্ঞি ……………৬৫
ঠাকুরবাড়ির বিয়ে …………….৭১
বিবাহবাসরের কাব্যকথা…………….৮১
পরিশিষ্ট: কয়েকটি বিয়ের পদ্যের প্রতিলিপি …………….২১৭