ফ্ল্যাপে লেখা কিছু কথা
তোমার ছেলেরা মরে গেছে প্রতিরোধের প্রথম পর্যায়ে, তারপর গেছে তোমার পুত্রবধূদের হাতের মেহেদী রঙ, তারপর তোমার জন্মসহোদর, ভাই শেখ নাসের, তারপর গেছেন তোমার প্রিয়তম বাল্যবিবাহিতা পত্নী, আমাদের নির্যাতিতা মা।
……………………………………..
……………………………………..
……………………………………..
……………………………………..
তুমি হাত উঁচু করে দাঁড়ালে, বুক প্রসারিত করে কী আশ্চর্য আহ্বান জানালে আমাদের। আর আমরা তখন? আমরা তখন রুটিনমাফিক ট্রিগার টিপলাম। তোমার বক্ষ বিদীর্ণ করে হাজার পাখির ঝাঁক পাখা মেলে উড়ে গেলো বেহেশতের দিকে…..। …..তারপর ডেড্স্টপ। …………………………………….
…………………………………….
…………………………………….
…………………………………….
তোমার নিষ্প্রাণ দেহখানি সিঁড়ি দিয়ে গড়াতে, গড়াতে, গড়াতে আমাদের পায়ের তলায় এসে হুমড়ি খেয়ে থামলো। কিন্তু তোমার রক্তস্রোত থামলো না। সিঁড়ি ডিঙিয়ে, বারান্দার মেঝে গড়িয়ে সেই রক্ত, সেই লাল টকটকে রক্ত বাংলার দূর্বা ছোঁয়ার আগেই আমাদের কর্নেল সৈন্যদের ফিরে যাবার বাঁশি বাজারেন।