“একাত্তরের গণহত্যা, নির্যাতন ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার”বইটি সম্পর্কে লেখকের কিছু কথা:
এই গ্রন্থের প্রবন্ধগুলাে গত বছর বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। গত বছর একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি প্রকাশ করেছে আমার সম্পাদনায় একাত্তরের দুঃসহ স্মৃতি।’ একাত্তরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর গণহত্যা ও নির্যাতনের প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভােগীদের সাক্ষ্য ও জবানবন্দির ভিত্তিতে রচিত হয়েছে এই গ্রন্থ। এই গ্রন্থ প্রণয়নের জন্য আমাদের বিভিন্ন জায়গায় যেতে হয়েছে। বিভিন্ন প্রশ্ন ও সমস্যার মুখােমুখি হতে হয়েছে। এ সব প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে আমাকে লিখতেও হয়েছে, যার কিছু এ গ্রন্থে রয়েছে।
এই গ্রন্থের প্রবন্ধগুলাে বিভিন্ন সময়ে লেখা। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রসঙ্গ বিভিন্ন প্রবন্ধে এসেছে। কিছু ক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবে পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। সমস্যার বহুমাত্রিকতা উপলব্ধি করার জন্য কখনও পুনরাবৃত্তি প্রয়ােজন হয়।
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল আন্দোলন সংগঠিত করতে গিয়ে গত কয়েক বছর বাংলাদেশে মৌলবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রভৃতি বিষয়ে বহু প্রশ্ন কাণে এসেছে। এসব প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে কিংবা পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে যে সব প্রবন্ধ লিখেছি গত কয়েক বছরে সেগুলাে পর্যায়ক্রমে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়েছে। বর্তমান গ্রন্থটি সেগুলাের পরিপূরক।
মূলত শহীদ জননী জাহানারা ইমামের একাত্তরের ঘাতক দালালবিরােধী আন্দোলনের কর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদের জন্য এ গ্রন্থ প্রকাশ করা হলেও বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনীতির বিশেষ প্রবণতা ও প্রাসঙ্গিক সমস্যা অনুধাবন করার ক্ষেত্রে এ গ্রন্থ সহায়ক হবে। এ বিষয়ে যারা আগ্রহী বর্তমান গ্রন্থটি তাঁদের প্রয়ােজন মেটাবে বলে আমার