‘কপাল’ বই এর ফ্ল্যাপের লেখা
মুখ্যত জীবন থেকেই তাঁর সৃষ্টির উপকরণ খুঁজে নেন একজন সাহিত্যিক। কিন্তু কোন জীবন? তাঁর নিজের, নাকি তাঁর চারপাশে যাঁরা জড়ানো আর ছড়ানো—তাঁদের? সব জীবনেই কি থাকে গল্প? সব প্লটই কি সাহিত্যের উপযোগী ? কতটাই বা মেশাতে হয় কল্পনা? এমন বিস্তর সমস্যা-দ্বন্দ্বে জর্জর এক লেখককে কেন্দ্র করে এই উপন্যাস। একে এই কাহিনী আদ্যন্ত উত্তমপুরুষে বর্ণিত, তদুপরি সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের সরস কলমের জোরালো আঁচড়ে এমন জীবন্ত রূপে ফোটানো সাহিত্যের অন্দরমহলের ছবিটি আর এমনই অন্তরঙ্গ চেহারায় তুলে ধরা সাহিত্যিকের সমস্যা, বিড়ম্বনা ও অন্তদ্বন্দ্বের জগৎটি যে কখনও-কখনও বিভ্রম জাগে। তবে কি নিজের জীবনের কথাই এ-উপন্যাসে শুনিয়েছেন লেখক? আর, সেখানেই এ-উপন্যাসের সার্থকতা।