ফ্ল্যাপে লিখা কথা
“তোমাদের জন্যে সর্বোত্তম আদর্শ রয়েছে আল্লাহর রসুলের মধ্যে’’
ভূমিকা
আমার ভাইয়ের ইন্তেকালের দিন ১৩ জানুয়ারি ১৯৩৫, কোলকাতায়। এখানে বলে রাখি তার জন্ম ঢাকা শহরে ১৮৮২ সালে। তাঁর বন্ধুবান্ধরা The saying of Muhammad (s) বইটির নতুন সংস্করণ বের করার জন্যে চিঠি লিখে আমাকে অনুরোধ জানাতে থাকেন। তার জীবনের শেষ দিকে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় আইনসভার সদস্য হিসেবে ভারতের মুসলমানদের সমস্যাবলিতে মগ্ন থাকলেও এই পুস্তিকা প্রকাশের সময় অর্থ্যাৎ ১৯০৫ সালে তিনি ছিলেন একজন তরুন যুবক। বিশ্বের মুসলিম শাসনাধীন সব দেশকে অথবা বিপুল সংখ্যক মুসলিম -অধ্যুষিত অঞ্চলগুলোকে রাজনৈতিক না হোক অন্তত অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সূত্রে যুক্তকরার জন্যে তার মধ্যে জ্বলছিল তারুন্যের উজ্জল উৎসাহ। তার অসাধারণ কর্মশক্তি ও দক্ষতা নিয়োজিত হল এই উদ্দেশ্যে, যার ফলশ্রুতিতে তাঁর অনুরাগীরা তাঁকে বলতেন মুহাম্মদ (সা:) বিংশ শতাব্দীর মুজাদ্দিদ। তিনি তখন লন্ডনে আইনের ছাত্র মাত্র, অবস্থাও তেমন স্বচ্ছল নয়,ভারত থেকে পাঠানো অল্প টাকার সঙ্গে আরবি সাহিত্য ও আইনশাস্ত্রে বক্তৃতা করে কিছু টাকা আয় করে তার নিজের খরচ চালাতেন। আরবি সাহিত্য ও আইন সম্পর্কে পরবর্তী লেখালেখি ও শিক্ষামূলক অবদান ছিল মূল্যবান। সেই সময়টায় তিনি ছিলেন লন্ডনের ইসলামিক সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রথম সম্পাদক। ইসলাম প্রচারে ও বৃটিশ ও ইউরোপীয় খ্রিস্টানদের ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত করার কাজে ও বিশ্ব -মুসলমানদের ঐক্য প্রচারে তাঁর ভূমিকা ছিল পথিকৃতের।
বইটির মুদ্রিত সংখ্যা এদেশে নিঃশেষ হয়ে যাওয়ায় অনেক খোঁজাখুজির পর এক পুরনো পারিবারিক বন্ধুর কাছে স্কটল্যান্ড থেকে একটি কপি কোনোক্রমে জোগাড় করতে সক্ষম হলাম।
আমি M/S. Luzac