গল্পের কিছু অংশ
‘এক দেশে ছিলো এক রাজা, আর ছিলো এক রানী।’_ বাবা গল্প বলছে, আর আদিত্য চোখেমুখে রাজ্যের কৌতূহল নিয়ে বসে আছে। গল্পটা তার অনেকবার শোনা, সে জানে এরপর বাবা কি বলবে, তবু প্রতিবারই সে ভীষণ আগ্রহ নিয়ে গল্পটা শোনে। গল্পের প্রতিটি বাক্যে বাবার এঙ্প্রেশন যেভাবে বদলে যায়, সেটা দেখার জন্য হলেও বারবার গল্পটা শুনতে ইচ্ছে করে তার। কিন্তু এখন গল্প শুনতে শুনতে একইসঙ্গে সে ভাবে_ সম্পর্ক নিয়ে আমি একটা উপন্যাস লিখতে চাই। সম্পর্ক নিয়ে? এ আর নতুন কি? পৃথিবীতে এমন কোন উপন্যাস আছে, যার মধ্যে দিয়ে নানারকম সম্পর্কের দৃশ্যকল্প তৈরি হয়নি! তাহলে আমি আর নতুন কি লিখবো? না, নতুন কিছু লিখতে পারবো কী না জানি না, কিন্তু এটা জানি_ একজন মানুষ সারাজীবন ধরে যতরকম সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে, তা নিয়ে এক বিরাট উপন্যাস লেখা যায়। শুয়ে শুয়ে এসব ভাবতে ভাবতে কখন ঝিমুনি এসে গেছে বুঝতে পারেনি কায়সার আহমেদ ওরফে আদিত্য। তারপর হঠাৎ সে দ্যাখে, বাবা গল্প করছে।….