ফ্ল্যাপে লিখা কথা
চাঁদের আলোয় ধীরে ধীরে হলুদ হচ্ছে সদর ঘাটের মাথার উপর রাজার বিশাল হোর্ডিং। আর নবী বক্ষে এ নারী নবজাতকের জন্য আবুল। বিচিত্র এই বৈপরীত্য। সন্তানের জন্য কেউ ছুটছে আমেরিকায়, আর আমেরিয়া থেকে কনডম আসছে বাংলাদেশে। এরই নাম কি বিজ্ঞান? না, এর নাম বিপনন। রথে চড়ে আসেন মাধুরী দিক্ষিত, জুলিয়া রবার্টস, দ্বৈরথে যায় গার্মেন্টস বালিকারা।
এভাবেই নৌকা ভাটিতে ঘুরে যায়। আমি মুক্তির চোখের দিকে তাকাতে পারছি না। সে খুব বিচক্ষণ পাঠক। তাকিয়েই সরে বসবে। তার চেয়ে থাক না এই উষ্ণ সান্নিধ্য আরও কিছুক্ষণ। এই যে উরুতে উরু লেগে থাক, এই যে বুকের কোমল ছোঁয়া, এই যে নিঃশ্বাসের গন্ধ, এই যে চুলের পাগল ওড়াউড়ি, এই স্বপ্ন থেকে আমি জেগে উঠতে চাই না। জ্যোৎস্নার এই নদীতে আমি ডুবে যেতে চাই । ভেসে যেতে চাই । মরে যেতে চাই ।
বুড়িগঙ্গা করে তুলি জীবন-নদী।