‘‘কিশোর/কিশোরী-পত্রিকা মানে বড়রা লিখবেন আর কিশোর-কিশোরীরা পড়বে। কিন্তু আমরা এই ধারণাকে একটু ভেঙে দিয়ে একটি কিশোর/কিশোরী-পত্রিকা করতে চাই যে-পত্রিকা প্রকাশ করবে কিশোর-কিশোরীরা এবং লিখবেন বড়রা, সঙ্গে ছোটোরাও। এটা শখের কোনো কাগজ নয় বরং স্বপ্নের! আর স্বপ্ন যে গাছের মতো সে তো সকলেই জানে। বীজ থেকে বেরিয়ে একদিন সে মহীরুহ হবে। এটাই স্বপ্নের ধর্ম! ‘কাননে কুসুমকলি’ বহুদূর যেতে চায়, ঠিক স্বপ্ন যতদূর যেতে চায়, জনে-জনে, কাল থেকে কালে…। বেঁচে থাকার নামই তো জীবন নয়, জীবন তখনই সঠিক জীবন হয়ে ওঠে যখন জীবনে এসে কিছু স্বপ্ন পায় প্রশ্রয়। স্বপ্নকে লালনের পদ্ধতিটির নামই তো শিল্পী জীবনকে আনন্দময় আর অর্থময় করার সুন্দর কুশল। ছোটো-বড় সকলের স্বপ্নে ভরে থাক কাননে কুসুমকলির প্রত্যেক পাতা।
হাওরের কোলে জেগে-থাকা এক জনপদ সুনামগঞ্জ। এখানে কখনো কাননে কুসুমকলি’র মত পত্রিকা প্রকাশের সাহস কেউ করেনি। কাননে কুসুমকলি প্রকাশের মাধ্যমে একটি ঐতিহ্যের সূচনা হয়েছে। সুনামগঞ্জের সমৃদ্ধ শিল্প-ঐতিহ্যের ইতিহাসে পত্রিকাটি আগামী প্রজন্মের স্বপ্নবান-স্বপ্নবতীদের জন্য সাহস আর অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
পত্রিকাটির প্রকাশক তরুণ কবি রাজীব চৌধুরী ও সম্পাদক শিশু-সংগঠক তাওসিফ মোনাওয়ার।’’