‘বাউল’ বাংলার এক গুরুবাদী সংগীতাশ্রয়ী সাধক-সম্প্রদায়। বাঙালির হাজার বছরের মূলধারার সাংস্কৃতিক দর্শন-চেতনার পরিচয় এই বাউল-মহাজনদের সাধনা ও সংগীতের ভেতরে নিহিত আছে। লালন এই বাউলসংস্কৃতির প্রধান পুরুষ, বাউলগানের ধ্রুপদী পদকর্তা, বাউলসাধনার শ্রেষ্ঠ ভাষ্যকর। বাউল লালনের গান গান আর আর কেবল বাংলাভাষী অঞ্চলের ভেতরেই সীমাবদ্ধ নেই, তা ছড়িয়ে পড়েছে দূর-দেশেও। ইউনেস্কো (UNESCO) ২০০৫-এর ২৫ নভেম্বর বাংলাদেশের বাউলগানকে ”a Masterpiece of the Oral and intangible Heritage of Humanity’ হিসেবে ঘোষণা করেছেন। ফাদার রিগন লালনের প্রায় ৪০০ গান ইতালিয় ভাষায় অনুবাদ করেছেন। এই অনুদিত গানগুলোর মধ্যে থেকে লালনের নানা অনুষঙ্গের ১০০টি গান নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে লালনের গানের নির্বাচিত সংকলন-‘আমার প্রিয় লালনগীতি’ (I CANTI DI LALON) নামে রিগনের মাতৃভাষায়।