নিসর্গ-বিষয়ে এত কিছু জানার ও শেখার আছে যে তা নিজেও এভাবে আগে ভেবে দেখিনি। ভাবতে হয়তাে শুরু করেছি প্রকৃতি বিষয়ে সমগ্র রচনা কয়েক খণ্ডে প্রকাশিত হতে যাচ্ছে দেখে বিস্ময়ে। প্রকৃতির মায়াপাশে এত রহস্য ও সৌন্দর্য লুকোছাপি খেলছে তা শিখতে শুরু করেছি সম্ভবত কৌতূহল, বাল্যস্মৃতি বা মুগ্ধ খেলাচ্ছলে লিখতে বসে । একদিন কার্জন হলের সামনের বাগানে সাদা মাদার ফুল দেখে বিস্মিত হয়ে । আর এখন ‘প্রকৃতিসমগ্র-১’ খণ্ডের বিশাল কলেবর দেখে ভীত শঙ্কিত ও বিস্ময়াতুর হয়ে, কাণ্ডজ্ঞান হারিয়ে । আমার নিজের লেখা প্রকৃতিবিষয়ক সব বই একত্রিত করে রেখে এভাবে কখনাে নেড়েচেড়ে দেখি নি। আর তাই স্বাভাবিকভাবে এর পরিমার্জন বা পরিবর্ধন করার কথা এখন ভাবতেও পারি যেমন আছে তেমনটি রেখে ছাড়পত্র দিতেই হচ্ছে তাই, কারণ সংস্কারের অরণ্যে ঢােকার সাহস আমার এখন নেই। থাকুক অপূর্ণতা, কিছু ত্রুটি, কিছু পুনরাবৃত্তি। পাঠিকা-পাঠক এখন অনেক সচেতন ও সাহসী নিজের হাতে ন্যায়দণ্ড তুলে নিলে মানাবেও ভালাে। ওটা এখন লেখকের হাতে একেবারেই বেমানান।