“বাবু” বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা:
শ্বশুরবাড়ি পা রেখেই চামেলী বুঝতে পারে। শিক্ষিত ও স্বাবলম্বী পরিবার হলেও তাদের মনের ভেতরটা অন্ধকার ও হতদরিদ্র। চামেলী যেসব জিনিসপত্র এনেছে তার একটাও শ্বশুরবাড়ির কারাে পছন্দ হয়নি। শ্বাশুড়ি ও ননদেরা গােল হয়ে বসে আলােচনা শুরু করে দেয়। কোথায় ছেলের বিয়ে দিলে কি কি পেত এসব নিয়ে আলােচনা করতে করতে অনেক রাত করে ফেলল তারা। তবুও কারাে মাথায় আসে না যে সে নতুন এ বাড়িতে এসেছে। তাকে কিছু খেতে দেওয়া দরকার, তার সাথে সবার পরিচয় করিয়ে দেওয়া দরকার। এগুলাে যেন তাদের মাথায় আসছিল না। ‘বাবু যখন শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলাে তখন বাবুর মা চিল্কার করে কাঁদছে আর বলছে, ‘আমার ছেলেকে ঐ মিনসে মেরেছে। ঐ মিনসেকে আমি ছাড়বাে না।’ বাবুর মায়ের আর্তনাদ শুনছে প্রতিবেশীরা আর চোখের পানি মুছছে। বাবুর অপরাধ ছিল তাদের পাড়ার এক গরিব মেয়েকে ভালােবেসে। বিয়ে করা।’…