বরিশালের মেয়ে ঢাকা শহরে এসে ঘাস লাগানো দেখে অবাক। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জীবনের প্রয়োজনে সেই ঘাসই লাগাতে হয়, কাজের প্রয়োজনে। জরিনার চকচকে শরীর চোখে লাগে কন্ট্রাক্টরের শ্যালক চিনটুর। দুলাভাই কাদেরের কৌশলে ও লোভে চিনটুর ফ্ল্যাটে যায় জরিনা। জরিনাকে বিছানায় আটকে ফেলে চিনটু। কিন্তু জরিনা হাসে, কারণ-শৈশবে শাক তুলতে গিয়ে গোপন সুড়ঙ্গ দিয়ে ঢুকেছিল জোঁক। সেই জোঁক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ঘাস বের হয়ে আসতে থাকে স্রোতের ঢলে তার গোপন কারখানা থেকে। চিনটু আটকা পড়ে ঘরের ভেতর, দরজা বন্ধ, দু’পা দুদিকে ছড়িয়ে মিটমিট হাসছে জরিনা। প্রবল ক্ষমতাশালী চিনটু আটকা পড়ে ঘাস, জোঁক আর টাটকা রক্তের ভাসানে। অভিনব আখ্যানে ম্যাজিকের ম্যাজিক দিয়ে মনি হায়দার বুনেছেন ঘাসকন্যা গল্পের ভূগোল।