তাবেঈদের ঈমানদীপ্ত জীবন-সব খণ্ড একত্রে

৳ 700.00

লেখক
প্রকাশক
আইএসবিএন
(ISBN)
9789843337771
ভাষা বাংলা
পৃষ্ঠার সংখ্যা ৪৪৮
সংস্কার 8th edition, 2017
দেশ বাংলাদেশ

“তাবেঈদের ঈমানদীপ্ত জীবন-সব খণ্ড একত্রে” বইয়ের সূচিপত্র
১। আতা ইবনে আবী রাবাহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি…..১৯
২। আমের ইবনে আবদুল্লাহ তামীমী রহমাতুল্লাহি আলাইহি…..৩০
৩। উরওয়াহ ইবনুয যুবাইর রহমাতুল্লাহি আলাইহি…..৪৩
৪। রাবী ইবনে খােসাইম রহমাতুল্লাহি আলাইহি…..৫৭
৫। ইয়াস ইবনে মুআবিয়া আল মুযানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি…..৬৮
৬। উমর ইবনে আবদুল আযীয রহমাতুল্লাহি আলাইহি ও তাঁর পুত্র আবদুল মালিক রহমাতুল্লাহি আলাইহি…..৮১
৭। হাসান বসরী রহমাতুল্লাহি আলাইহি…..৯৩
৮। কাজী শুরাইহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি…..১০৭
৯। মুহাম্মাদ ইবনে সীরীন রহমাতুল্লাহি আলাইহি…..১১৯
১০। রাবীআ আর রায় রহমাতুল্লাহি আলাইহি ‘এক…..১২৯
১১। রাবীআ আর রায় রহমাতুল্লাহি আলাইহি ‘দুই’…..১৩৬
১২। রজা ইবনে হাইওয়াহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি…..১৪৬
১৩। আমের ইবনে শুরাহবীল আশশাআবী রহমাতুল্লাহি আলাইহি…..১৬২
১৪। সালামাহ ইবনে দিনার ওরফে আবু হাযেম আরাজ রহমাতুল্লাহি আলাইহি…..১৭৩
১৫। সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যিব রহমাতুল্লাহি আলাইহি…..১৮৪
১৬। সাঈদ ইবনে জুবাইর রহমাতুল্লাহি আলাইহি…..১৯৫
১৭। মুহাম্মাদ বিন ওয়াসে রহমাতুল্লাহি আলাইহি ‘এক’…..২১১
১৮। মুহাম্মাদ বিন ওয়াসে রহমাতুল্লাহি আলাইহি ‘দুই’…..২২০
১৯। উমর ইবনে আবদুল আযীয রহমাতুল্লাহি আলাইহি…..২৩২
২০। মুহাম্মাদ ইবনুল হানাফিয়া রহমাতুল্লাহি আলাইহি (মুহাম্মাদ ইবনে আলী ইবনে আবু তালেব)…..২৪০
২১। তাউস ইবনে কাইসান রহমাতুল্লাহি আলাইহি মুহাম্মাদ ইবনে ইউসুফ সাকাফীর সঙ্গে…..২৫৪
২২। তাউস ইবনে কাইসান রহমাতুল্লাহি আলাইহি…..২৬১
২৩। কাসিম ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে আবু বকর রহমাতুল্লাহি আলাইহি…..২৭১
২৪। ছিলাহ ইবনে আশয়াম আল আদাভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি…..২৮২
২৫। উমর ইবনে আবদুল আযীয রহমাতুল্লাহি আলাইহি…..২৯২
২৬। যয়নুল আবেদীন আলী ইবনুল হুসাইন ইবনে আলী রহমাতুল্লাহি আলাইহি…..৩০১
২৭। আবু মুসলিম আল খাওলানী আবদুল্লাহ ইবনে সুওয়াব রহমাতুল্লাহি আলাইহি…..৩১৬
২৮। সালিম ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে উমর রহমাতুল্লাহি আলাইহি উমর ফারুকের পৌত্র…..৩২৯
২৯। সালিম ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে উমর রহমাতুল্লাহি আলাইহি…..৩৩৮
৩০। আবদুর রহমান আল গাফেকী রহমাতুল্লাহি আলাইহি মুসলিম স্পেনের গভর্নর…..৩৪৭
৩১। আবদুর রহমান আল গাফেকী রহমাতুল্লাহি আলাইহি শহীদী মঞ্চের বিখ্যাত বীর…..৩৬০
৩২। আন নাজাশী আছহামা ইবনে আবজার রহমাতুল্লাহি আলাইহি…..৩৭২ br ৩৩। রুফাই ইবনে মেহরান রহমাতুল্লাহি আলাইহি…..৩৯২
৩৪। তামীম গােত্রের সরদার আল আহনাফ ইবনে কায়েস রহমাতুল্লাহি আলাইহি ‘এক’…..৪০৪
৩৫। উমর ফারুক রাযিয়াল্লাহু আনহুর এর হাতে গড়া আহনাফ ইবনে কায়েস রহমাতুল্লাহি আলাইহি ‘দুই’…..৪১৪
৩৬। আবু হানীফা আন নুমান রহমাতুল্লাহি আলাইহি…..৪২৭
৩৭। আবু হানীফা আন নুমান রহমাতুল্লাহি আলাইহি মেধা ও প্রতিভার কয়েকটি বিরল চমক…..৪৩৬

১৯২০ খ্রিস্টাব্দে উত্তর সিরিয়ার আরিহা শহরে জন্ম। জন্মের চার মাসের মাথায় বাবাকে হারান। চার বছর বয়সে মায়ের অন্যত্র বিয়ে হয়ে গেলে দাদার কাছেই লালিত-পালিত হন। সিরিয়ার প্রাচীনতম শরয়ী শিক্ষাগার হালাব শহরের মাদরাসা খুরভিয়ায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পড়াশোনা করেন। তারপর মিসরের আল-আজহার ইউনিভার্সিটি থেকে অর্জন করেন উসূলে ফিক্হের ওপর উচ্চতর ডিগ্রি। আল-আজহারে পড়াশোনা শেষ করে কায়রো ইউনিভার্সিটিতে আরবি ভাষা ও সাহিত্যের উচ্চতর গবেষণা সম্পন্ন করে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। ড. আবদুর রহমান রা‘ফাত পাশা শিক্ষকতা, সাহিত্যসাধনা ও গবেষণাতেই জীবনভর সম্পৃক্ত ছিলেন। এক সময় দামেস্ক ইউনিভার্সিটির কলা অনুষদের প্রভাষক ছিলেন। ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দে সৌদি আরব সফরে গেলে রিয়াদের ইমাম মুহাম্মদ ইবনে সউদ ইউনিভার্সিটি থেকে অধ্যাপনার প্রস্তাব পেয়ে সেখানেই স্থির হয়ে যান। আরবি ভাষার সেবা, সাহিত্যসাধনা ও গবেষণার পাশাপাশি মুহাম্মদ ইবনে সউদ ইউনিভার্সিটিতে অধ্যাপনা ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে সেখানেই কাটিয়ে দেন জীবনের বাকি বাইশটি বছর। ইসলামি সাহিত্যের উৎকর্ষ বৃদ্ধিতে ড. রা‘ফাত পাশা প্রধানত দুটো ভাগে কাজ করেছেন। এক. ইসলামের স্বর্ণযুগে রচিত দাওয়ামূলক কবিতা সম্ভারকে শিল্পের নিক্তিতে মেপে সমালোচনা। দুই.

ইসলামের অতীত ইতিহাসকে খ্যাত ও বিস্মৃত মনীষীদের জীবনীর আদলে অনন্য রচনাশৈলিতে উপস্থাপন।জীবনী সাহিত্যে রা‘ফাত পাশা যে কাজগুলো করে গেছেন, তা আজ বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। ‘সুয়ারুম মিন হায়াতিস সাহাবা’, ‘সুয়ারুম মিন হায়াতিস সাহাবিয়াত’ ও ‘সুয়ারুম মিন হায়াতিত তাবেয়িন’ শিরোনামের তিনটি গ্রন্থ তাঁকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। এ ছাড়া ‘আদ-দীন আল-কাইয়িম’, ‘লুগাত আল-মুসতাকবিল’-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ আরও বিপুল কাজ করে গেছেন তিনি। ৬৬ বছর বয়সে প্যারালাইসিসের কারণে ড. রা‘ফাত পাশার শরীরের একাংশ বিকল হয়ে যায়। ১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দের মাঝামাঝি সময় ডাক্তারের পরামর্শে কিছু দিনের জন্য হাওয়া বদলের উদ্দেশে তিনি তুরস্কের ইস্তাম্বুলে যান এবং সেখানেই জুলাইয়ের ১৮ তারিখ মুতাবেক ১১ জিলক্বদ ১৪০৬ হিজরী শুক্রবার রাতে ইন্তিকাল করেন। ইস্তাম্বুলের ঐতিহাসিক ‘ফাতেহা’ গোরস্তানে তাঁকে সমাহিত করা হয়, যেখানে শুয়ে আছেন বিপুল সংখ্যক সাহাবী আজমাঈন ও তাবেয়িনে কেরাম।


বই সম্পর্কে কোন জিজ্ঞাসা বা মতামত থাকলে আমাদেরকে জানান
শেয়ার করুন

লেখকের অন্য বইসমূহ