প্রবন্ধ সমগ্র -৪র্থ খণ্ড

৳ 375.00

লেখক
প্রকাশক
আইএসবিএন
(ISBN)
8172934394
ভাষা বাংলা
পৃষ্ঠার সংখ্যা ৪৩২
সংস্কার 2nd Printed, 2017
দেশ ভারত

“প্রবন্ধ সমগ্র -৪র্থ খণ্ড” বইয়ের পিছনের কভারের লেখা:
‘অন্নদাশঙ্কররে প্রবন্ধসম্ভার বাংলাসাহিত্যের মহামূল্য সম্পদ’ বলছেনে আচার্য প্রবোধচন্দ্র সেন। অন্নদাশঙ্কররে সাহিত্যচেতনা দুই মহান সাহিত্যপ্রবাহে লালিত। একটি ভারতীয় সাহিত্যের তিন হাজার বছররে ধারা, অন্যটি য়ুরোপীয় রেনেসাঁসেরে পাঁচশো বছরের জোয়ার, তার সাহিত্য সৃষ্টিতে এই দুই ধারার অনবদ্য সমন্বয় ঘটছে। তাঁর রচনায় একদিকে যেমন আছে সরলতা ও স্নিগ্ধতা, অন্যদিকে তেমনি আছে বিশুদ্ধি ও বৈজ্ঞানকিতা। প্রাচ্য ও পাশ্চাত্ত্য, শিল্প ও জীবন, বিশ্বাস ও মনন এবং ভাবের সঙ্গে ভাবনা, বস্তুজিজ্ঞাসার সঙ্গে রোমান্টিক চেতনা, লোককজীবনরে সঙ্গে পরিশীলিত জীবন—সবকিছু মিলিয়ে তিনি নিজে এবং তাঁর সৃষ্টিও এক আশ্চর্য নান্দনিক সমীকরণ। অন্নদাশঙ্কর রায় কবি ও কথাসাহত্যিকি, ভ্রমণকাহিনীকার ও প্রাবন্ধিক এবং সর্বোপরি সচেতন ও বিবেকবান চিন্তাবিদ। তার এই শেষোক্ত পরিচিতির সবচেয়ে বড় প্রমাণ তাঁর প্রবন্ধসাহত্যি।

(মার্চ ১৫, ১৯০৪ - অক্টোবর ২৮, ২০০২), একজন স্বনামধন্য বাঙালি কবি ও লেখক। ভারতের উড়িষ্যা জেলার তার জন্ম। তিনি একজন বিখ্যাত ছড়াকারও। অন্নদাশঙ্করের জন্ম হয় ব্রিটিশ ভারতে বর্তমান উড়িষ্যার ঢেঙ্কানলে । তাঁর পিতা ছিলেন ঢেঙ্কানল রাজস্টেটের কর্মী নিমাইচরণ রায় এবং তাঁর মাতা ছিলেন কটকের প্রসিদ্ধ পালিত বংশের কন্যা হেমনলিনী । ছোটবেলায় ঢেঙ্কানলে তাঁর শিক্ষাজীবন শুরু হয় । ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে পাটনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ম্যাট্রিক পাশ করেন । এরপর সংবাদপত্রের সম্পাদনা শিখতে কলকাতা বসুমতী পত্রিকার সম্পাদক হেমেন্দ্রপ্রসাদ ঘোষের কাছে যান । তিনি শর্টহ্যান্ড, টাইপরাইটিং এবং প্রুফরিডিং-ও শেখেন । কিন্তু এই কাজ তাঁর ভালো লাগেনি । এরপর তিনি কটকের র‌্যাভেনশ কলেজ থেকে আই.এ পরীক্ষা দেন এবং তাতে পাটনা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেন । ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দে বি.এ পরীক্ষাতেও তিনি পাটনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে প্রথম স্থানাধিকারী হন । ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে এম.এ পড়তে পড়তে আই.সি.এস পরীক্ষায় তিনি দ্বিতীয়বারে পূর্ববর্তী রেকর্ড ভেঙে প্রথম স্থান অধিকার করেন । তিনিই প্রথম ভারতীয় হিসেবে এ গৌরব লাভ করেন। সেই বছরেই তিনি সরকারি খরচে আই.সি.এস হতে ইংল্যান্ড যান । সেখানে তিনি দুই বছর ছিলেন । এই সময়ে তাঁর ধারাবাহিক ভ্রমণ কাহিনী পথে প্রবাসে বিচিত্রায় প্রকাশিত হয় । ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে মার্কিন কন্যা অ্যালিস ভার্জিনিয়া অনফোর্ডকে বিবাহ করে তিনি তাঁর নাম দেন লীলা রায় । লীলা রায় বহু বই বাংলা থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ করেছেন । অন্নদাশঙ্করের অনেক লেখা লীলাময় ছদ্মনামে প্রকাশিত হয়েছিল । ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে তিনি প্রথম নদীয়া জেলার ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে কাজে যোগ দেন । তিনি বছর এই পদে থেকে বিভিন্ন জেলায় কাজ করে কুমিল্লা জেলায় জজ হিসাবে নিযুক্ত হন । ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত তিনি সরকারী কাজে নিযুক্ত থেকে ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দে তিনি পশ্চিমবঙ্গের বিচার বিভাগের সেক্রেটারি হন । ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দে তিনি স্বেচ্ছায় সরকারী চাকরি থেকে অবসর নেন । ২৮ অক্টোবর , ২০০২ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।


বই সম্পর্কে কোন জিজ্ঞাসা বা মতামত থাকলে আমাদেরকে জানান
শেয়ার করুন

লেখকের অন্য বইসমূহ