প্রবন্ধ সমগ্র-৬ষ্ঠ খণ্ড

৳ 375.00

লেখক
প্রকাশক
আইএসবিএন
(ISBN)
8172935943
ভাষা বাংলা
পৃষ্ঠার সংখ্যা ৫৮৮
সংস্কার 1st Published, 1999
দেশ ভারত

লেখকের ভূমিকা প্রবন্ধ সমগ্রের ৬ষ্ঠ খণ্ড প্রধানত আমার নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা নিয়ে লেখা। আই. সি. এস. নামক বইখানিতে আমার সহকর্মীদের প্রসঙ্গও স্থান পেয়েছে। তাঁদের কেউ কেউ ইংল্যাণ্ড কিংবা কটল্যাণ্ডের লােক। ব্রিটিশ শাসন শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইণ্ডিয়ান সিভিল সার্ভিসও শেষ হয়ে যায়। তারপরে আমরা যারা সরকারি চাকরিতে থাকি তাঁদের নিয়ে শুরু হয় ইণ্ডিয়ান অ্যাডমিনিসট্রেটিভ সাভিস দুটি সার্ভিসের দরকম পটভূমিকা। কিছুদিন পরে আমি চাকরি থেকে অকালে অবসর নিই ও সাহিত্যকর্মে অখণ্ড মনোেযােগ দিই। কর্মজীবনের কথা ক্রমশ ভুলে যাই। সেটা ছিল আমার জীবনের একটা অবিচ্ছেদ্য অংশ। তার একটা আভাস রইল আই. সি. এস. গ্রথে। অন্যান্য বইগলিতে আমার সাহিত্যিক জীবন ও ব্যক্তিজীবনের কথা। এসেছে। আরও কয়েকজনের কথাও সেইসঙ্গে আছে। তাঁদের জীবন-প্রসঙ্গ।

(মার্চ ১৫, ১৯০৪ - অক্টোবর ২৮, ২০০২), একজন স্বনামধন্য বাঙালি কবি ও লেখক। ভারতের উড়িষ্যা জেলার তার জন্ম। তিনি একজন বিখ্যাত ছড়াকারও। অন্নদাশঙ্করের জন্ম হয় ব্রিটিশ ভারতে বর্তমান উড়িষ্যার ঢেঙ্কানলে । তাঁর পিতা ছিলেন ঢেঙ্কানল রাজস্টেটের কর্মী নিমাইচরণ রায় এবং তাঁর মাতা ছিলেন কটকের প্রসিদ্ধ পালিত বংশের কন্যা হেমনলিনী । ছোটবেলায় ঢেঙ্কানলে তাঁর শিক্ষাজীবন শুরু হয় । ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে পাটনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ম্যাট্রিক পাশ করেন । এরপর সংবাদপত্রের সম্পাদনা শিখতে কলকাতা বসুমতী পত্রিকার সম্পাদক হেমেন্দ্রপ্রসাদ ঘোষের কাছে যান । তিনি শর্টহ্যান্ড, টাইপরাইটিং এবং প্রুফরিডিং-ও শেখেন । কিন্তু এই কাজ তাঁর ভালো লাগেনি । এরপর তিনি কটকের র‌্যাভেনশ কলেজ থেকে আই.এ পরীক্ষা দেন এবং তাতে পাটনা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেন । ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দে বি.এ পরীক্ষাতেও তিনি পাটনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে প্রথম স্থানাধিকারী হন । ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে এম.এ পড়তে পড়তে আই.সি.এস পরীক্ষায় তিনি দ্বিতীয়বারে পূর্ববর্তী রেকর্ড ভেঙে প্রথম স্থান অধিকার করেন । তিনিই প্রথম ভারতীয় হিসেবে এ গৌরব লাভ করেন। সেই বছরেই তিনি সরকারি খরচে আই.সি.এস হতে ইংল্যান্ড যান । সেখানে তিনি দুই বছর ছিলেন । এই সময়ে তাঁর ধারাবাহিক ভ্রমণ কাহিনী পথে প্রবাসে বিচিত্রায় প্রকাশিত হয় । ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে মার্কিন কন্যা অ্যালিস ভার্জিনিয়া অনফোর্ডকে বিবাহ করে তিনি তাঁর নাম দেন লীলা রায় । লীলা রায় বহু বই বাংলা থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ করেছেন । অন্নদাশঙ্করের অনেক লেখা লীলাময় ছদ্মনামে প্রকাশিত হয়েছিল । ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে তিনি প্রথম নদীয়া জেলার ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে কাজে যোগ দেন । তিনি বছর এই পদে থেকে বিভিন্ন জেলায় কাজ করে কুমিল্লা জেলায় জজ হিসাবে নিযুক্ত হন । ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত তিনি সরকারী কাজে নিযুক্ত থেকে ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দে তিনি পশ্চিমবঙ্গের বিচার বিভাগের সেক্রেটারি হন । ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দে তিনি স্বেচ্ছায় সরকারী চাকরি থেকে অবসর নেন । ২৮ অক্টোবর , ২০০২ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।


বই সম্পর্কে কোন জিজ্ঞাসা বা মতামত থাকলে আমাদেরকে জানান
শেয়ার করুন

লেখকের অন্য বইসমূহ