“ঈমানী গল্প-১” বইটির ভূমিকা থেকে নেয়াঃ
আল্লাহ তায়ালার পবিত্র কালাম কুরআন শরীফে অনেক ঘটনা ও কাহিনী বর্ণিত হয়েছে। ঐশীবাণীতে এসব ঘটনা আলােচনা করার উদ্দেশ্য হলাে বিশেষ কোনাে বাস্তব সত্যকে দিবালােকের ন্যায় মূর্তমান করে তােলা। কেননা বিমূর্ত ঘটনা মানুষের হৃদয়ে গভীরভাবে রেখাপাত করে, সুপ্ত হৃদয়কে জাগিয়ে তােলে এবং গল্পের আদর্শ মানুষের পদাঙ্ক অনুসরণ করতে পাঠককে অনুপ্রাণিত করে। তাছাড়া অতীতকালের মানব ইতিহাসের উত্থান-পতনের আনন্দদায়ক ও বেদনাবিধূর কাহিনীসমূহ মানুষের ভবিষ্যত চলার পথ নির্ণয়ে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এ কারণেই যুগে যুগে ওলামায়ে কেরাম তাঁদের লেখনি ও বক্তব্যসমূহে নানান ধরনের বাস্তব ও সত্য ঘটনার অবতারণা করেছেন। এসব গল্প পড়ে, শুনে পাঠক ও শ্রোতারা আমল-আখলাক, ইবাদতবন্দেগি, ঈমান-আকিদা ও আচার-আচরণের ক্ষেত্রে অনেক অগ্রসর হয়েছেন। বক্ষমান গ্রন্থটি সে ধরনের গল্পকাহিনীর এক অনবদ্য সংকলন। যা আরিফ বিল্লাহ হযরত মাওলানা জুলফিকার আহমদ নকশবন্দী দা. বা.-এর মুখ হতে নিসৃত ও বর্ণিত হয়েছে। এ গল্পসমূহ সংকলনের ক্ষেত্রে নিচে বর্ণিত রীতি-নীতি অনুসরণ করা হয়েছে।
১. প্রতিটি গল্পের শুরুতে উপযুক্ত শিরােনামযুক্ত করা হয়েছে।
২. মাওলানা জুলফিকার সাহেব-এর ভাষাতেই গল্পসমূহ বর্ণনা করা হয়েছে।
৩. হযরতের ১৭টি কিতাব তথা খুতুবাতে জুলফিকার ১২ খণ্ড, সুকুনে দীল, তামান্নায়ে দীল, দাওয়ায়ে দীল, এশকে এলাহি ও এশকে রাসূল সা. থেকে গল্পসমূহ চয়ন করা হয়েছে।
৪. একই গল্পকে কোনাে কোনাে সময় ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিতে কয়েক জায়গায় আলােচনা করেছেন। কিন্তু গ্রন্থের কলেবর যেন বেড়ে না যায়, সেজন্য আমরা কেবল কোনাে এক অধ্যায়ে সে গল্পটি আলােচনা করেছি।
৫. ১৪২৭ হিজরির হজের মৌসুমে মক্কা শরীফে হযরতের কাছে এ গ্রন্থের চূড়ান্ত পাণ্ডুলিপি উপস্থাপন করা হলে তিনিই এর নাম নির্বাচন করে দেন। পরিশেষে, এ গল্পটিকে আলাের মুখ দেখাতে যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও শুভকামনা রইল। আল্লাহ তাদেরকে উভয় জগতে সর্বোত্তম প্রতিদানে ভূষিত করুন। আমীন।