“মাদার তেরেসা” বইটির ‘মুখবন্ধ’ থেকে নেয়াঃ
এ গ্রন্থমালার মাধ্যমে আমরা তাদের জানাতে চাই—মানুষ এতটা অপরাধী ছিল না, এতটা অনৈতিক ও মূল্যবােধহীন ছিল না, এতটা দুর্বল ও নির্জীব ছিল না, যেমন আজকে আমরা আছি। এই গ্রন্থমালার মাধ্যমে আমরা তাদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, বড় মাপের মানুষ, মহৎপ্রাণের মানুষ আমাদের জাতীয় জীবনে অতীতেও ছিলেন এবং বর্তমানেও আছেন। যারা চিন্তা ও কর্মের মাধ্যমে সমগ্র মানবজাতির জন্য সুসংবাদ বয়ে এনেছেন। সমগ্র জাতি যখন অন্ধকারে গা ভাসিয়ে নিরুদ্দেশ গন্তব্যের দিকে ধাবিত ঠিক তখন এই গ্রন্থমালা প্রকাশের প্রয়ােজন অনুভব করছি। আলােকিত মানুষের জীবনী পড়ে আগামী প্রজন্ম আলােকিত হয়ে উঠুক। এই স্বপ্ন নিয়ে ভাষাপ্রকাশ প্রকাশ করছে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের সৃষ্টিশীল ও আলােকিত মানুষের জীবনী গ্রন্থমালা। দুই. মাদার তেরেসা সারা বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছেন। কুষ্ঠরােগীর সেবা, অনাথ আশ্রম প্রতিষ্ঠা, মাদকবিরােধী প্রচারণা—সবখানেই তিনি নিজেকে মেলে ধরেছেন। মানুষের কল্যাণ কামনা করেছেন। আর তাই স্কোপিয়ে নামের ছােট্ট শহরের গন্ডী পেরিয়ে তিনি হয়ে উঠেছিলেন বিশ্ব নাগরিক। সব মানুষের একান্ত আপনজন, হয়ে উঠেছিলেন বিশ্ব জননী। মানব কল্যাণে ব্রত এই মহীয়সী নারী শান্তির জন্য ১৯৭৯ সালে নােবেল পুরস্কার লাভ করেন।