ফ্ল্যাপ-১
রবীন্দ্র-শরৎচন্দ্র পরবর্তী অন্যতম কথাসাহিত্যিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়। মৃগী রোগ ও চরম দারিদ্র্য তাঁকে বহন করতে হয়েছে আমৃত্যু। দৃঢ় ব্যক্তিত্ব আর অদম্য জেদের বশেই কেবল লেখালেখিকে সম্বল করে বাঁচতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে দুই ‘অ’, মানে অভাব ও অসুখ তাঁকে বারবার নাজেহাল করেছে জীবনের বাজিতে। নিজের জীবনকে তো বটেই; মানুষের জীবনকেও তিনি দেখেছেন প্রথমে ফ্রয়েডের মনস্তত্বে, পরে মার্কসীয় দর্শনে। কোন দৃষ্টিভঙ্গিতে রচিত সাহিত্যকর্ম মানিকের শ্রেষ্ঠ, তা বিতর্ক-সাপেক্ষ বিষয়। কিশোর থেকে বৃদ্ধ- সব বয়সী পাঠকের উপযোগী মানিকের জীবন ও সাহিত্য নিয়ে এ বইটি বহুল তথ্যসমৃদ্ধ এবং সুখপাঠ্য। বইয়ের আঙ্গিকটি অভিনব। বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে মানিক যেভাবে বয়ান করতেন তাঁর জন্মের আঁতুড়ঘর থেকে মৃত্যু-পরবর্তী শ্মশানযাত্রা পর্যন্ত যাবতীয় জানা-অজানা কথা, উত্তমপুরুষে সেটাই তুলে ধরেছেন লেখক।
ফ্ল্যাপ-২
অঞ্জন আচার্য, বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকোত্তর। পেশাগত জীবন শুরু হয় শীর্ষস্থানীয় বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় কাজের মধ্য দিয়ে। কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন সম্পাদিত ‘জেন্ডার ও উন্নয়ন কোষ’ গ্রন্থ প্রকল্পে কাজ করেছেন গবেষণা-সহকারী হিসেবে। এরপর পাঞ্জেরি পাবলিকেশন্স লিমিটেডের ‘ভাষা বিভাগ’-এর দায়িত্ব পালন করেন। সেখান থেকে বাংলা একাডেমি পরিচালিত ‘বাংলা ভাষার বিবর্তনমূলক অভিধান’ প্রকল্পে গবেষক ও সংকলক হিসেবে কাজ করেছেন। আবার ফিরে আসেন সাংবাদিকতা পেশায়। বার্তা সম্পাদক হিসেবে কাজ করেন অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘পরিবর্তন’-এ। এরপর দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার সম্পাদকীয় বিভাগে কাজ করেন। বর্তমানে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থসমূহ হলো : জলের ওপর জলছাপ (কাব্যগ্রন্থ), আবছায়া আলো-অন্ধকারময় নীল (কাব্যগ্রন্থ), তুমুল কোলাহলে কুড়াই নৈঃশব্দ্য (কাব্যগ্রন্থ), রবীন্দ্রনাথ : জীবনে মৃত্যুর ছায়া (গবেষণা-প্রবন্ধ), ঊনমানুষের গল্প (গল্পগ্রন্থ)।