সাহাবায়ে কেরামের ঈমানদীপ্ত জীবন ১ম খন্ড

৳ 800.00

লেখক
প্রকাশক
আইএসবিএন
(ISBN)
9789849061823
ভাষা বাংলা
পৃষ্ঠার সংখ্যা ৭০৪
দেশ বাংলাদেশ

“সাহাবায়ে কেরামের ঈমানদীপ্ত জীবন ১ম খন্ড” বইয়ের সূচিপত্র:
১। আনাস ইবনে মালেক আল-আনসারী—৩১
২। সাঈদ ইবনে আমের আল-জুমাহী—৪১
৩। তুফাইল ইবনে আমর আদ-দাউসী—৫৩
৪। আবদুল্লাহ ইবনে হুযাফা আস-সাহমী—৬৫
৫। উমায়ের ইবনে ওয়াহাব–৭৯
৬। বারা ইবনে মালেক আল-আনসারী-৮৯
৭। সুমামা ইবনে উসাল—৯৯
৮। আবু আইয়ুব আল-আনসারী—১১১
৯। আমর ইবনুল জামূহ—১২৩
১০। আবদুল্লাহ ইবনে জাহাশ—১৩৫
১১। আবু উবায়দাহ ইবনুল জাররাহ—১৪৭
১২। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ–১৫৯
১৩। সালমান আল-ফারসী–১৭৩
১৪। ইকরিমা ইবনে আবী জাহল—১৮৫
১৫। যায়েদ আল-খাইর—২০১
১৬। আদিই ইবনে হাতিম আত-তাঈ—২১৩
১৭। আবু যর আল-গিফারী–২২৫
১৮। আবদুল্লাহ ইবনে উম্মে মাকতুম—২৩৭
১৯। মাজযাআ ইবনে সাওর আস-সাদূসী—২৪৭
২০। উসাইদ ইবনুল হুযাইর ২৫৭
২১। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস—২৭১
২২। নুমান ইবনে মুকাররিন আল-মুযানী-২৯১
২৩। সুহাইব আর-রূমী—৩০৫
২৪। আবুদ দারদা—৩১৭
২৫। যায়েদ ইবনে হারেসা—৩৩৫
২৬। উসামা ইবনে যায়েদ—৩৪৯
২৭। সাঈদ ইবনে যায়েদ—৩৬১
২৮। উমাইর ইবনে সাদ (বাল্যজীবন) —৩৭১
২৯। উমাইর ইবনে সাদ (কর্মময় জীবনে) —৩৮৩
৩০। আবদুর রহমান ইবনে আউফ—৩৯৫
৩১। জাফর ইবনে আবী তালেব—৪০৯
৩২। আবু সুফিয়ান ইবনুল হারিস—৪২৯
৩৩। সাদ ইবনে আবী ওয়াক্কাস—৪৪৫
৩৪। হুযাইফা ইবনুল ইয়ামান—৪৫৭
৩৫। উকবা ইবনে আমের আল-জুহানী—৪৭১
৩৬। বেলাল ইবনে রাবাহ—৪৮১
৩৭। হাবীব ইবনে যায়েদ আল-আনসারী—৪৯৫
৩৮। আবু তালহা আল-আনসারী—৫০৭
৩৯। ওয়াশী ইবনে হারব—৫১৯
৪০। হাকীম ইবনে হাযাম—৫২৯
৪১। আব্বাদ ইবনে বি —৫৩৯
৪২। যায়েদ ইবনে সাবেত আল-আনসারী—৫৪৭
৪৩। রাবীআ ইবনে কাআব—৫৫৭
৪৪। যুল বিজাদাইন—৫৬৯
৪৫। আবুল আস ইবনে রাবী—৫৭৯
৪৬। আসেম ইবনে সাবেত–৫৯১
৪৭। উতবা ইবনে গাযওয়ান—৬০১
৪৮। নুআইম ইবনে মাসউদ—৬১৩
৪৯। খাব্বাব ইবনুল আরত—৬২৯
৫০। রাবী ইবনে যিয়াদ আল্-হারেসী—৬৪১
৫১। আবদুল্লাহ ইবনে সালাম—৬৫৫
৫২। খালেদ ইবনে সাঈদ ইবনুল আস—৬৬৭
৫৩। সুরাকা ইবনে মালেক—৬৮১
৫৪। ফাইরূয আদ-দাইলামী—৬৯৫

১৯২০ খ্রিস্টাব্দে উত্তর সিরিয়ার আরিহা শহরে জন্ম। জন্মের চার মাসের মাথায় বাবাকে হারান। চার বছর বয়সে মায়ের অন্যত্র বিয়ে হয়ে গেলে দাদার কাছেই লালিত-পালিত হন। সিরিয়ার প্রাচীনতম শরয়ী শিক্ষাগার হালাব শহরের মাদরাসা খুরভিয়ায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পড়াশোনা করেন। তারপর মিসরের আল-আজহার ইউনিভার্সিটি থেকে অর্জন করেন উসূলে ফিক্হের ওপর উচ্চতর ডিগ্রি। আল-আজহারে পড়াশোনা শেষ করে কায়রো ইউনিভার্সিটিতে আরবি ভাষা ও সাহিত্যের উচ্চতর গবেষণা সম্পন্ন করে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। ড. আবদুর রহমান রা‘ফাত পাশা শিক্ষকতা, সাহিত্যসাধনা ও গবেষণাতেই জীবনভর সম্পৃক্ত ছিলেন। এক সময় দামেস্ক ইউনিভার্সিটির কলা অনুষদের প্রভাষক ছিলেন। ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দে সৌদি আরব সফরে গেলে রিয়াদের ইমাম মুহাম্মদ ইবনে সউদ ইউনিভার্সিটি থেকে অধ্যাপনার প্রস্তাব পেয়ে সেখানেই স্থির হয়ে যান। আরবি ভাষার সেবা, সাহিত্যসাধনা ও গবেষণার পাশাপাশি মুহাম্মদ ইবনে সউদ ইউনিভার্সিটিতে অধ্যাপনা ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে সেখানেই কাটিয়ে দেন জীবনের বাকি বাইশটি বছর। ইসলামি সাহিত্যের উৎকর্ষ বৃদ্ধিতে ড. রা‘ফাত পাশা প্রধানত দুটো ভাগে কাজ করেছেন। এক. ইসলামের স্বর্ণযুগে রচিত দাওয়ামূলক কবিতা সম্ভারকে শিল্পের নিক্তিতে মেপে সমালোচনা। দুই.

ইসলামের অতীত ইতিহাসকে খ্যাত ও বিস্মৃত মনীষীদের জীবনীর আদলে অনন্য রচনাশৈলিতে উপস্থাপন।জীবনী সাহিত্যে রা‘ফাত পাশা যে কাজগুলো করে গেছেন, তা আজ বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। ‘সুয়ারুম মিন হায়াতিস সাহাবা’, ‘সুয়ারুম মিন হায়াতিস সাহাবিয়াত’ ও ‘সুয়ারুম মিন হায়াতিত তাবেয়িন’ শিরোনামের তিনটি গ্রন্থ তাঁকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। এ ছাড়া ‘আদ-দীন আল-কাইয়িম’, ‘লুগাত আল-মুসতাকবিল’-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ আরও বিপুল কাজ করে গেছেন তিনি। ৬৬ বছর বয়সে প্যারালাইসিসের কারণে ড. রা‘ফাত পাশার শরীরের একাংশ বিকল হয়ে যায়। ১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দের মাঝামাঝি সময় ডাক্তারের পরামর্শে কিছু দিনের জন্য হাওয়া বদলের উদ্দেশে তিনি তুরস্কের ইস্তাম্বুলে যান এবং সেখানেই জুলাইয়ের ১৮ তারিখ মুতাবেক ১১ জিলক্বদ ১৪০৬ হিজরী শুক্রবার রাতে ইন্তিকাল করেন। ইস্তাম্বুলের ঐতিহাসিক ‘ফাতেহা’ গোরস্তানে তাঁকে সমাহিত করা হয়, যেখানে শুয়ে আছেন বিপুল সংখ্যক সাহাবী আজমাঈন ও তাবেয়িনে কেরাম।


বই সম্পর্কে কোন জিজ্ঞাসা বা মতামত থাকলে আমাদেরকে জানান
শেয়ার করুন

লেখকের অন্য বইসমূহ